ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইরান কখনও আলোচনায় বসবে না: সর্বোচ্চ নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি বলেছেন, জোর করে কখনও তেহেরানকে আলোচনার টেবিলে নেয়া সম্ভব নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পাঠানোর একদিন পর শনিবার (৮ মার্চ) এই প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি। খবর রয়টার্স

ফক্স বিজনেসের সঙ্গে সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, তেহেরান যাতে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে এজন্য তাকে সামলাতে দুটি উপায় রয়েছে। এক. সামরিক হামলার মাধ্যমে, দুই. চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর খামেনেয়ি বলেন, ওয়াশিংটন তাদের নিজস্ব প্রত্যাশা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

খামিনেয়িকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়, তেহেরানকে হুমকি প্রদানের মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে নেয়া সম্ভব নয়। ইরান সরাসরি এটি প্রত্যাখ্যান করে।’

খামেনেয়ির এমন মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ ট্রাম্পের কথাকেই পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইরানকে সামরিক হামলার মুখোমুখি হতে হবে না হয় চুক্তির পথে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরান তার জনগণের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই শান্তির পথ বেছে নেবে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদ ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগে যে নীতি ব্যবহার করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একই পন্থা অনুসরণ করতে চাইছেন। তার উদ্দেশ্য বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইরানকে দুর্বল করা এবং দেশটির তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইরান কখনও আলোচনায় বসবে না: সর্বোচ্চ নেতা

আপডেট সময় : ০৩:০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি বলেছেন, জোর করে কখনও তেহেরানকে আলোচনার টেবিলে নেয়া সম্ভব নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পাঠানোর একদিন পর শনিবার (৮ মার্চ) এই প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি। খবর রয়টার্স

ফক্স বিজনেসের সঙ্গে সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, তেহেরান যাতে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে এজন্য তাকে সামলাতে দুটি উপায় রয়েছে। এক. সামরিক হামলার মাধ্যমে, দুই. চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর খামেনেয়ি বলেন, ওয়াশিংটন তাদের নিজস্ব প্রত্যাশা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

খামিনেয়িকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়, তেহেরানকে হুমকি প্রদানের মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে নেয়া সম্ভব নয়। ইরান সরাসরি এটি প্রত্যাখ্যান করে।’

খামেনেয়ির এমন মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ ট্রাম্পের কথাকেই পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইরানকে সামরিক হামলার মুখোমুখি হতে হবে না হয় চুক্তির পথে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরান তার জনগণের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই শান্তির পথ বেছে নেবে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদ ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগে যে নীতি ব্যবহার করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একই পন্থা অনুসরণ করতে চাইছেন। তার উদ্দেশ্য বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইরানকে দুর্বল করা এবং দেশটির তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।