কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

- আপডেট সময় : ০১:২৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবেও দায়িত্ব নিচ্ছেন এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। খবর বিবিসির।
কার্নি ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হন, যেখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড অনেক পিছিয়ে ছিলেন।
নিজের বিজয় ভাষণে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান কার্নি বলেন, “আমরা এক অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি, যা এসেছে এমন একটি দেশের কাছ থেকে যাদের আমরা আর বিশ্বাস করতে পারি না।”
কার্নি আরও বলেন, “এই কক্ষ শক্তিশালী। এই কক্ষ কানাডার শক্তি।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের জন্য সামনে রয়েছে “অন্ধকার সময়”, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যতদিন না আমেরিকা কানাডাকে যথাযথ সম্মান দেখাবে, ততদিন পর্যন্ত মার্কিন পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক বহাল থাকবে।”
এর আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক এবং কানাডাকে “৫১তম রাজ্য” বানানোর হুমকির কারণে দেশটি “অস্তিত্ব সংকটের” মুখোমুখি।
এদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়েলিভ্রে কার্নির জয়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, “লিবারেলরা কানাডিয়ানদের ধোঁকা দিয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হতে চাইছে।”
লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে সহজেই জয়ী হন কার্নি। আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে, তবে চলতি মাসেই এর ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
ট্রুডো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার পর কয়েক দিনের মধ্যেই কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তবে খুব শিগগিরই তাকে সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে নামতে হবে, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষিত হতে পারে।
ট্রুডো জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন, যখন দলের ভেতর থেকেই তার ওপর চাপ বাড়ছিল। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন।