ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে। রাস্তায় যাকে খুশি, যাকে পাচ্ছে কোপাচ্ছে। এজন্য কি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? এর জন্য কি আপনি (ড. ইউনূস) রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন? না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।

সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত ‘সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন এবং জনগণ ভোট চায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৮ মাস চলছে। ডক্টর ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরে কিছু কাজ তিনি দ্রুত করেছেন। সেজন্যে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই কাজগুলো হলো- তিনি তার নিজের মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি তো গণ-আন্দোলনে ছিলেন না। কোনো গণ-আন্দোলনের কারণে তার নামে মামলা হয়নি। কি কারণে হয়েছিল সেটা আর না বলি। তবে তার মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে আমার খারাপ লাগছে এই কারণে যে, আপনাকে আমরাই ক্ষমতায় রেখেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল, তারাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু আপনি আপনারটা বাদে অন্য কিছু চিন্তা করতে পারছেন না। আপনার সঙ্গে ফায়সালা এখনো করিনি। সেজন্য রাস্তায়ও নামি নাই। আমরা রাস্তায় নামলে আপনাদের কি অবস্থা হবে, সেটা আমরাও জানি আপনারাও জানেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হাসিনার বিচার ছয় মাসের মধ্যেই হতে পারতো। কিন্তু বিচারের নামে এখন যা হচ্ছে মানুষ ভুলতে বসেছে। তরুণরা বলেছে বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। বিচার তো মনে হয় হবে না, তাই বলে কি নির্বাচনও হবে না? যদি উদ্যোগী হন, তাহলে এক বছরের বিচারকার্য তিন মাসে করা সম্ভব।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলাম শুভর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট আজমেরী বেগম ছন্দা, এস কে সাদি, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, আমির হোসেন বাদশা, খোকন চন্দ্র দাস, আবদুল আহাদ নূর, সাংবাদিক নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু

আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে। রাস্তায় যাকে খুশি, যাকে পাচ্ছে কোপাচ্ছে। এজন্য কি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? এর জন্য কি আপনি (ড. ইউনূস) রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন? না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।

সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত ‘সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন এবং জনগণ ভোট চায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৮ মাস চলছে। ডক্টর ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরে কিছু কাজ তিনি দ্রুত করেছেন। সেজন্যে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই কাজগুলো হলো- তিনি তার নিজের মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি তো গণ-আন্দোলনে ছিলেন না। কোনো গণ-আন্দোলনের কারণে তার নামে মামলা হয়নি। কি কারণে হয়েছিল সেটা আর না বলি। তবে তার মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে আমার খারাপ লাগছে এই কারণে যে, আপনাকে আমরাই ক্ষমতায় রেখেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল, তারাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু আপনি আপনারটা বাদে অন্য কিছু চিন্তা করতে পারছেন না। আপনার সঙ্গে ফায়সালা এখনো করিনি। সেজন্য রাস্তায়ও নামি নাই। আমরা রাস্তায় নামলে আপনাদের কি অবস্থা হবে, সেটা আমরাও জানি আপনারাও জানেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হাসিনার বিচার ছয় মাসের মধ্যেই হতে পারতো। কিন্তু বিচারের নামে এখন যা হচ্ছে মানুষ ভুলতে বসেছে। তরুণরা বলেছে বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। বিচার তো মনে হয় হবে না, তাই বলে কি নির্বাচনও হবে না? যদি উদ্যোগী হন, তাহলে এক বছরের বিচারকার্য তিন মাসে করা সম্ভব।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলাম শুভর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট আজমেরী বেগম ছন্দা, এস কে সাদি, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, আমির হোসেন বাদশা, খোকন চন্দ্র দাস, আবদুল আহাদ নূর, সাংবাদিক নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।