ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে ছুটির পর এবং বন্ধের দিনে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিং ক্লাস নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) এ আদেশে সই করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মো. রাইহুল করিম।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের মতো ঘটনা ঠেকাতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে আদেশের কোথাও ধর্ষণ, নিপীড়নের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ছুটির পর এবং বন্ধের দিন শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়, যা অনভিপ্রেত। কোনোক্রমেই বিদ্যালয়ের কক্ষ প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিংসহ অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্ব স্ব দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা আবশ্যিক প্রতিপালনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাগুলো নিয়ে অভিভাবকসহ সব মহল অনেকটা আতঙ্কিত। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাসের পর ও স্কুল বন্ধের দিনে শিক্ষার্থীদের কোনোভাবে স্কুলে থাকার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। সে লক্ষ্যেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে ছুটির পর এবং বন্ধের দিনে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিং ক্লাস নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) এ আদেশে সই করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মো. রাইহুল করিম।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের মতো ঘটনা ঠেকাতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে আদেশের কোথাও ধর্ষণ, নিপীড়নের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ছুটির পর এবং বন্ধের দিন শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়, যা অনভিপ্রেত। কোনোক্রমেই বিদ্যালয়ের কক্ষ প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিংসহ অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্ব স্ব দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা আবশ্যিক প্রতিপালনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাগুলো নিয়ে অভিভাবকসহ সব মহল অনেকটা আতঙ্কিত। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাসের পর ও স্কুল বন্ধের দিনে শিক্ষার্থীদের কোনোভাবে স্কুলে থাকার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। সে লক্ষ্যেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।