ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজা দখলের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে গাজা দখলের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের কেউ উৎখাত করবে না। গতকাল (বুধবার, ১২ মার্চ) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ ফসকে এ কথা বলেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি মাকিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে কথা বলছেন আরব লীগের নেতারা।

গাজায় প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার দিন থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর মানবিক অত্যাচার শুরু করেছে ইসরাইল। গেল প্রায় ১২ দিন ধরে উপত্যকাটিতে কোন ধরনের খাদ্য ও জরুরি সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা। শুধু তাই নয় বন্ধ করে দিয়েছে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ।

পবিত্র রমজান মাসে ইসরাইলিদের এ ধরনের জুলুমে অতিষ্ঠ গাজার লাখো ফিলিস্তিনি। ইফতার ও সেহরিতেও অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছে রোজাদারদের।

ফিলিস্তিনিরা যখন একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে তখন মিশর সীমান্তে সারিসারি ট্রাক অপেক্ষা করছে খাবার নিয়ে। তবে, ইসরাইলি বাধায় গাজায় প্রবেশ করতে পারছেনা এগুলো। তবুও সেখানকার ট্রাক চালকরা খুশি মনে অপেক্ষা করছেন কখন তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পারবেন।

ট্রাক চালকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গাজার ভাইদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে এখানে অপেক্ষায়। আমরা এখানে ইফতার করতে পারলেও ফিলিস্তিনিরা খাবার ও পানি পাচ্ছে না।’

অন্য একজন চালক বলেন, ‘যত দিন দরকার এখানে অপেক্ষা করবো। তবুও গাজায় ফিলিস্তিনি ভাইদের খাবার পৌঁছে দেবো।’

খাবার ও বিদ্যুতের অভাবে যখন মানবেতর অবস্থা ফিলিস্তিনিদের তখন গাজাবাসীর জন্য সুখবর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানো হবে না। তারা তাদের ভূমিতেই থাকবে। বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হঠাৎই যেন মুখ ফসকে এ কথা বলে ফেলেন ট্রাম্প।

মার্কিন সাংবাদিক: গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

ট্রাম্প: ‘ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে কেউ সরাচ্ছে না’।

যদিও ক্ষমতায় বসেই ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে গাজা নিয়ন্ত্রণের নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি গাজা কিনে ফেলার কথাও বলেছিলেন আনপ্রেডিক্টেবল এই নেতা। এর মাস খানেকের মধ্যেই এবার ভোল পাল্টালেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক ইসরাইলি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক বন্দিদের ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। তাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাদের মুক্ত করতে ইসরাইলের সঙ্গে কাজ করছি। এই সংকট সমাধান করতে হবে। ৭ অক্টোবর একটি ভয়াবহ দিন ছিল।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির মুখপাত্র জানান, সত্যি যদি গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে ট্রাম্প ফিরে আসেন তবে তাকে ধন্যবাদ।

ট্রাম্প যখন ফিলিস্তিনিদের গণহারে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তখন কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরব লীগের নেতারা আলোচনা করছেন গাজা পুনর্গঠন নিয়ে। মিশরের নেতৃত্বে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেয় আরব দেশগুলো।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করায় আটক মোহাম্মদ খলিলের মুক্তির দাবিতে আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ নামে হাজারো শিক্ষার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা দখলের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৬:৪১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে গাজা দখলের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের কেউ উৎখাত করবে না। গতকাল (বুধবার, ১২ মার্চ) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ ফসকে এ কথা বলেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি মাকিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে কথা বলছেন আরব লীগের নেতারা।

গাজায় প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার দিন থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর মানবিক অত্যাচার শুরু করেছে ইসরাইল। গেল প্রায় ১২ দিন ধরে উপত্যকাটিতে কোন ধরনের খাদ্য ও জরুরি সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা। শুধু তাই নয় বন্ধ করে দিয়েছে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ।

পবিত্র রমজান মাসে ইসরাইলিদের এ ধরনের জুলুমে অতিষ্ঠ গাজার লাখো ফিলিস্তিনি। ইফতার ও সেহরিতেও অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছে রোজাদারদের।

ফিলিস্তিনিরা যখন একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে তখন মিশর সীমান্তে সারিসারি ট্রাক অপেক্ষা করছে খাবার নিয়ে। তবে, ইসরাইলি বাধায় গাজায় প্রবেশ করতে পারছেনা এগুলো। তবুও সেখানকার ট্রাক চালকরা খুশি মনে অপেক্ষা করছেন কখন তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পারবেন।

ট্রাক চালকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গাজার ভাইদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে এখানে অপেক্ষায়। আমরা এখানে ইফতার করতে পারলেও ফিলিস্তিনিরা খাবার ও পানি পাচ্ছে না।’

অন্য একজন চালক বলেন, ‘যত দিন দরকার এখানে অপেক্ষা করবো। তবুও গাজায় ফিলিস্তিনি ভাইদের খাবার পৌঁছে দেবো।’

খাবার ও বিদ্যুতের অভাবে যখন মানবেতর অবস্থা ফিলিস্তিনিদের তখন গাজাবাসীর জন্য সুখবর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানো হবে না। তারা তাদের ভূমিতেই থাকবে। বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হঠাৎই যেন মুখ ফসকে এ কথা বলে ফেলেন ট্রাম্প।

মার্কিন সাংবাদিক: গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

ট্রাম্প: ‘ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে কেউ সরাচ্ছে না’।

যদিও ক্ষমতায় বসেই ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে গাজা নিয়ন্ত্রণের নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি গাজা কিনে ফেলার কথাও বলেছিলেন আনপ্রেডিক্টেবল এই নেতা। এর মাস খানেকের মধ্যেই এবার ভোল পাল্টালেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক ইসরাইলি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক বন্দিদের ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। তাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাদের মুক্ত করতে ইসরাইলের সঙ্গে কাজ করছি। এই সংকট সমাধান করতে হবে। ৭ অক্টোবর একটি ভয়াবহ দিন ছিল।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির মুখপাত্র জানান, সত্যি যদি গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে ট্রাম্প ফিরে আসেন তবে তাকে ধন্যবাদ।

ট্রাম্প যখন ফিলিস্তিনিদের গণহারে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তখন কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরব লীগের নেতারা আলোচনা করছেন গাজা পুনর্গঠন নিয়ে। মিশরের নেতৃত্বে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেয় আরব দেশগুলো।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করায় আটক মোহাম্মদ খলিলের মুক্তির দাবিতে আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ নামে হাজারো শিক্ষার্থী।