মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আগেই টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার বিদায় নিলেন ওয়ানডে থেকেও। তাই এই অলরাউন্ডারকে বাংলাদেশের জার্সিতে আর বাইশ গজে দেখা যাবে না। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে তার সঙ্গে ভাগাভাগি করা সময়ের স্মৃতিচারণ করলেন তামিম ইকবাল।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।'
মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা শুভকামনা জানিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে তার অবসর জীবনের জন্য।
মাহমুদউল্লাহকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তামিম লিখেছেন, 'বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য অভিনন্দন রিয়াদ ভাই।'
'আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে আপনি আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা। আপনার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার স্মৃতিগুলো মনে পড়বে। দেশের ক্রিকেটে অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আগামী দিনগুলোর জন্য শুভকামনা।'-যোগ করেন তিনি।
রাতে তাতে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে বাংলা ও ইংরেজিতে রিয়াদকে জানিয়েছেন শুভকামনা।
স্ট্যাটাসে সাকিব লেখেন, ‘রিয়াদ ভাই, আপনার পাশে খেলা এবং আপনার কাছ থেকে শেখা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আপনি মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই উদাহরণ স্থাপন করেছেন এবং আপনার রেকর্ডই কথা বলে। খেলার প্রতি আপনার নিষ্ঠা, স্থিতিস্থাপকতা এবং ভালোবাসার জন্য জাতি আপনার কাছে ঋণী। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে আশীর্বাদ করুন এবং নতুন যাত্রায় আপনাকে পথ দেখান।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু মাহমুদউল্লাহর। শেষটাও করলেন ওয়ানডে দিয়েই। এই সংস্করণের ক্রিকেটে সবমিলিয়ে খেলেছেন ২৩৯ ম্যাচ। যেখানে ৩৬ গড়ে করেছেন ৫ হাজার ৬৮৯ রান। ৩২ ফিফটির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন চার সেঞ্চুরি। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৮২ উইকেট।
এ ছাড়া ৫০ টেস্ট খেলে প্রায় ৩৩ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। যেখানে তার নামের পাশে ১৬ ফিফটির আর ৫ সেঞ্চুরি। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৪৩ উইকেট।
বাংলাদেশের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১৪১ টি। যেখানে প্রায় ২৪ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৪৪৪ রান। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৪১ উইকেট।