বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিচারহীনতার সংস্কৃতির রেশে দেশে এখনো নারী নির্যাতনের মতো অপরাধ ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তৎকালীন ক্ষমতাশীলরা অনাচারগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে নারীরা-শিশুরা কেউ রেহাই পায়নি।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী জানান, প্রশাসনের ঢিলেমিতে নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বলেন, বর্তমান শাসনকালে মানুষের প্রত্যাশা ছিল, সারা জাতিতে, তৃণমূলে দ্রুত আইনের শাসন বলবত। কিন্তু প্রশাসনের স্লথ ও ঢিলেঢালা আচরণের কারণে সমাজে দুষ্কৃতিকারীরা নানাভাবে আশকারা পাচ্ছে।
এসবের বিচার না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
নারী নির্যাতনকারী ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকবে।
এসময় দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জেলায় জেলায় বিএনপির আইনি ও স্বাস্থ্য পরামর্শ সেল গঠন করার ঘোষণা দেন রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষের সমবেত ধ্বনি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা, কিন্তু সেটি যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পেতে থাকবে। আইনের শাসনের শক্ত কাঠামো তৈরি করা হলেই ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। প্রশাসন যোগ্য, দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও মানবিক না হলে সমাজে অন্যায়-অবিচার এবং খুন, জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকোপ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন বলবৎ করে সমাজে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমরা আবারও জোরালো দাবি করছি, ধর্ষণে নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অতি দ্রুত নিশ্চিত করা হোক।
তিনি বলেন, বিএনপি থেকে দেশব্যাপী নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাগুলোর তথ্য সংগ্রহ এবং “নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেল” গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।