ওমরাহর ভিসার জন্য শতভাগ আবেদনেই অনুমোদন দিত ঢাকার সৌদি দূতাবাস। কিন্তু ৬ মার্চ থেকে তা নেমেছে দুই থেকে তিন শতাংশে। রমজানে ওমরাহ করার অপেক্ষায় থাকে লক্ষাধিক যাত্রী। একই কারণে হজের জন্য বাড়ি ভাড়া করতেও যেতে পারছেন না এজেন্সির প্রতিনিধিরা। ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, সংকট সমাধানে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে ওমরাহর যাত্রী। প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ মক্কায় যান। আর রমজানে ওমরাহর যাত্রী দাঁড়ায় লাখের কাছাকাছি। কিন্তু গেল ৬ মার্চ থেকে নতুন ওমরাহ ভিসা একরকম বন্ধ। ১০০টি আবেদনের বিপরীতে ভিসা মিলছে দুই থেকে তিনটি।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, রমজানে ওমরাহর জন্য কয়েক মাস আগেই টিকিট কেটে রাখেন যাত্রীরা। বর্তমানে এ সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। তাদের টিকিটের টাকা ফেরতের বিষয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ফরিদ আহমেদ মজুমদার আরও বলেন, কয়েক বছর ধরে হজের বাড়ি ভাড়ার জন্য আলাদা ভিসা বন্ধ। এ জন্য ওমরাহর ভিসায় এসব কাজ করতে যান এজেন্সির প্রতিনিধিরা। ভিসা না পেয়ে তাঁরাও যেতে পারছেন না। অথচ ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে বাড়ি ভাড়া করার সময়সীমা।
বাড়ি ভাড়া না হলে মিলবে না হজের ভিসা। সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েও সমাধান পাননি এজেন্সি মালিকরা। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ সমস্যা নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
এদিকে ২৯ এপ্রিল থেকে হজের ফ্লাইট শুরুর কথা থাকলেও ঢাকা-মদিনা রুটে ফ্লাইটের সময়সূচিই নিশ্চিত হয়নি।