ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘যারা ভোট নেবে তারা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের উদ্দেশ্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আপনি গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান। নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যারা ভোট নেবে তারা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে, সে ব্যবস্থা করেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্থিতিশীল রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এনসিপি’র উদ্দেশে তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে হাজার হাজার মানুষ সহায়তা করেছে শুধুমাত্র একটি কারণে। সেটি হলো নির্বাচন। শেখ হাসিনা যে নির্বাচন শব্দটি বাংলাদেশ থেকে মুছে দিয়েছেন, সেই নির্বাচনের জন্য জীবন দিয়েছেন মুগ্ধরা। এখন নির্বাচন নিয়ে আপনারা নতুন দল করে আবার বলেন গণপরিষদ।

ফারুক বলেন, আমার নেতা তারেক রহমানের আশা এবং দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ চায় নিজের ভোট নিজে দেবে। ৯১-এর মতো একটা ভোট করবো। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে ১৬ বছরের মধ্যে ৯ বছর যারা জেল খেটেছি, গুলি খেয়ে হাসপাতালে ছিল, গুম-খুন হয়েছে, তাদের ইচ্ছা এই নোবেল বিজয়ীর হাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

তিনি আরও বলেন, শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে হবে না, সমস্যার সমাধান হবে একমাত্র জনপ্রতিনিধি সরকারের মাধ্যমে। সমস্যার সমাধান হবে দিনের ভোট দিনে, যারা ১৬ বছর ধরে হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম করে যে বিজয় ছাত্র-জনতার মধ্য দিয়ে এনে দিয়েছি, তাদের রক্ত শপথ করে বলতে চাই- বিলম্ব না করে নির্বাচন দিন। বিলম্ব করলে আপনার থেকে এই সমর্থন মানুষ প্রত্যাহার করে নেবে।

সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া সভাপতিত্বে ও দৈনিক ভোরের ডাকের চিফ রিপোর্টার সুজন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি তরুন কুমার ঘোষ, অ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান, এসএম জহিরুল ইসলাম, সামির হোসেন সোহাগ, রেজাউল করিম ভূইয়াসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘যারা ভোট নেবে তারা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে’

আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের উদ্দেশ্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আপনি গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান। নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যারা ভোট নেবে তারা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে, সে ব্যবস্থা করেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্থিতিশীল রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এনসিপি’র উদ্দেশে তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে হাজার হাজার মানুষ সহায়তা করেছে শুধুমাত্র একটি কারণে। সেটি হলো নির্বাচন। শেখ হাসিনা যে নির্বাচন শব্দটি বাংলাদেশ থেকে মুছে দিয়েছেন, সেই নির্বাচনের জন্য জীবন দিয়েছেন মুগ্ধরা। এখন নির্বাচন নিয়ে আপনারা নতুন দল করে আবার বলেন গণপরিষদ।

ফারুক বলেন, আমার নেতা তারেক রহমানের আশা এবং দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ চায় নিজের ভোট নিজে দেবে। ৯১-এর মতো একটা ভোট করবো। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে ১৬ বছরের মধ্যে ৯ বছর যারা জেল খেটেছি, গুলি খেয়ে হাসপাতালে ছিল, গুম-খুন হয়েছে, তাদের ইচ্ছা এই নোবেল বিজয়ীর হাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

তিনি আরও বলেন, শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে হবে না, সমস্যার সমাধান হবে একমাত্র জনপ্রতিনিধি সরকারের মাধ্যমে। সমস্যার সমাধান হবে দিনের ভোট দিনে, যারা ১৬ বছর ধরে হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম করে যে বিজয় ছাত্র-জনতার মধ্য দিয়ে এনে দিয়েছি, তাদের রক্ত শপথ করে বলতে চাই- বিলম্ব না করে নির্বাচন দিন। বিলম্ব করলে আপনার থেকে এই সমর্থন মানুষ প্রত্যাহার করে নেবে।

সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া সভাপতিত্বে ও দৈনিক ভোরের ডাকের চিফ রিপোর্টার সুজন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি তরুন কুমার ঘোষ, অ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান, এসএম জহিরুল ইসলাম, সামির হোসেন সোহাগ, রেজাউল করিম ভূইয়াসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।