ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আঘারচি বলেছেন, ‘ইরানের পররাষ্ট্রনীতী নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৭৯ সালেই সেই যুগের অবসান হয়েছে।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল শনিবার থেকে ইয়েমেনে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দা জানালের আব্বাস আঘারচি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার জন্য আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ বলে মনে করে বিশ্ব। ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।’
এর আগে ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানকে অবিলম্বে হুতিদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে জবাব দেবে এবং এর ফল ভালো হবে না।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এটিই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্ররে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে ইয়েমেনে হামলা শুরু করল যখন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চাপ বাড়াচ্ছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের হামলা ইয়েমেনের উত্তর প্রদেশেও সম্প্রসারিত করতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েরি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসে আবারও হুতিদের ওপর হামলার নির্দেশ দিলেন।