ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ খুঁড়ে ৬১ মরদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে ৬১ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের সময় ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়েছিল তাদের। গত কয়েক দিনে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের একাধিক দলের প্রচেষ্টায় এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, যথাযথভাবে সমাহিত করার জন্য এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স দলগুলো গত ১৩ মার্চ কবর থেকে এসব মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে।

প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দিনে তারা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে, যার মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাত মরদেহগুলো ফরেনসিক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গনে প্রায় ১৬০টি মরদেহ সমাহিত করা হয়েছিল বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাই আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

গাজার এক সময়ের সবচেয়ে বড় এবং সর্বোত্তম আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাযুক্ত হাসপাতাল আল-শিফায় ইসরায়েল যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা ভয়াবহ। হাসপাতালটি যুদ্ধের আগে বছরে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সেবা প্রদান করত। জরুরি সেবার পাশাপাশি এখানে অস্ত্রোপচার, ডায়ালাইসিস চিকিৎসা এবং মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবাও প্রদান করা হতো। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনী বারবার শিফা হাসপাতালে হামলা চালায়। গত বছর হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ খুঁড়ে ৬১ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে ৬১ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের সময় ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়েছিল তাদের। গত কয়েক দিনে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের একাধিক দলের প্রচেষ্টায় এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, যথাযথভাবে সমাহিত করার জন্য এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স দলগুলো গত ১৩ মার্চ কবর থেকে এসব মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে।

প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দিনে তারা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে, যার মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাত মরদেহগুলো ফরেনসিক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গনে প্রায় ১৬০টি মরদেহ সমাহিত করা হয়েছিল বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাই আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

গাজার এক সময়ের সবচেয়ে বড় এবং সর্বোত্তম আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাযুক্ত হাসপাতাল আল-শিফায় ইসরায়েল যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা ভয়াবহ। হাসপাতালটি যুদ্ধের আগে বছরে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সেবা প্রদান করত। জরুরি সেবার পাশাপাশি এখানে অস্ত্রোপচার, ডায়ালাইসিস চিকিৎসা এবং মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবাও প্রদান করা হতো। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনী বারবার শিফা হাসপাতালে হামলা চালায়। গত বছর হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়ে।