ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গোল হজমের রেকর্ডের দিনে পয়েন্ট খোয়াল ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে থাকতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও তাদের জন্য সেটি অর্জন করাও অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। বিপর্যয়ের এই সময়ে ব্রাইটনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে সিটি। একই সঙ্গে পেপ গার্দিওলার অধীন সিটিও এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল হজমের রেকর্ড গড়ে ফেলল। তবে আর্লিং হালান্ডের ব্যক্তিগত রেকর্ডটি সুখকর, প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দ্রুততম সময়ে তিনি ১০০টি গোলে অবদান রেখেছেন।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ব্রাইটনকে আতিথ্য দিতে নামে ম্যানসিটি। যদিও তাদের সঙ্গে প্রায় সমান তালেই লড়েছে সফরকারীরা। আক্রমণের জবাবে উপহার দিচ্ছিল প্রতি-আক্রমণ। সিটিকে প্রথমে এগিয়ে দেন হালান্ড, এরপর পিছিয়ে পড়ার পর আবারও লিডে ফেরান ওমর মারমুশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আব্দুকোদির খুশানভের আত্মঘাতী গোলে সিটি জয়বঞ্চিত থেকে যায়।

এর আগে প্রিমিয়ার লিগে কখনোই ব্রাইটনের কাছে হোম ম্যাচে হারেনি সিটি। এমনকি আগের ১০ ম্যাচেই তারা টানা জিতেছিল। এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নির্দিষ্ট দলের (ব্রাইটন) বিপক্ষে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ডটিও ধরে রাখে ইতিহাদের দলটি। কালকের ম্যাচে সেই সংখ্যাটিকে ১৫–তে নিয়ে গেছে সিটি।

অন্য দিকে ব্রাইটন আগের চার ম্যাচে টানা জিতে ছিল বেশ উজ্জীবিত। ২০১৭ সালের পর তারা এই প্রথম টানা এত জয় দেখল। তবে সিটির বিপক্ষে সেই জয়রথ থেমেছে, যদিও থেকেছে অপরাজেয়।

এদিন ম্যাচের মাত্র একাদশ মিনিটেই লিড নেয় সিটি। পেনাল্টিতে সফল স্পট কিক নেন হালান্ড। যা নরওয়েজিয়ান তারকার প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ১০০ গোলে অবদানের (গোল এবং অ্যাসিস্ট) রেকর্ড। সিটির জার্সিতে তিনি ৯৪ ম্যাচে ৮৪ গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর আগে ১০০ ম্যাচে শততম গোল (৭৯) ও অ্যাসিস্টের (২১) রেকর্ড ছিল অ্যালান শিয়েরারের। তাকে ছাড়িয়ে এখন সবার শীর্ষে হালান্ড।

এ দিকে গোল খেয়ে ব্রাইটন আর আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ২১ মিনিটেই তারা সমতায় ফেরে পেরভিস ইস্তুপিনিয়ানের গোলে। বিরতির মিনিট ছয়েক আগে ওমর মারমুশের গোলে আবারও লিড নেয় সিটি। তবে সেটি বিরতির পর টিকে মাত্র ৩ মিনিট।

মূলত ডিফেন্ডার আব্দুকোদির খুসানভ আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটনকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন। যা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে সিটি ৪০তম গোল হজম। গার্দিওলার অধীনে যা লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এরপর উভয় দলই লিড নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত আর কারও গোল হয়নি।

ড্রয়ের পর ২৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের সিটির অবস্থান পাঁচে। সমান ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে ব্রাইটন। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে লিভারপুল। এরপর যথাক্রমে অবস্থান আর্সেনাল (৫৫), নটিংহ্যাম ফরেস্ট (৫৪) ও চেলসির (৪৯)।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোল হজমের রেকর্ডের দিনে পয়েন্ট খোয়াল ম্যানসিটি

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে থাকতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও তাদের জন্য সেটি অর্জন করাও অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। বিপর্যয়ের এই সময়ে ব্রাইটনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে সিটি। একই সঙ্গে পেপ গার্দিওলার অধীন সিটিও এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল হজমের রেকর্ড গড়ে ফেলল। তবে আর্লিং হালান্ডের ব্যক্তিগত রেকর্ডটি সুখকর, প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দ্রুততম সময়ে তিনি ১০০টি গোলে অবদান রেখেছেন।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ব্রাইটনকে আতিথ্য দিতে নামে ম্যানসিটি। যদিও তাদের সঙ্গে প্রায় সমান তালেই লড়েছে সফরকারীরা। আক্রমণের জবাবে উপহার দিচ্ছিল প্রতি-আক্রমণ। সিটিকে প্রথমে এগিয়ে দেন হালান্ড, এরপর পিছিয়ে পড়ার পর আবারও লিডে ফেরান ওমর মারমুশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আব্দুকোদির খুশানভের আত্মঘাতী গোলে সিটি জয়বঞ্চিত থেকে যায়।

এর আগে প্রিমিয়ার লিগে কখনোই ব্রাইটনের কাছে হোম ম্যাচে হারেনি সিটি। এমনকি আগের ১০ ম্যাচেই তারা টানা জিতেছিল। এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নির্দিষ্ট দলের (ব্রাইটন) বিপক্ষে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ডটিও ধরে রাখে ইতিহাদের দলটি। কালকের ম্যাচে সেই সংখ্যাটিকে ১৫–তে নিয়ে গেছে সিটি।

অন্য দিকে ব্রাইটন আগের চার ম্যাচে টানা জিতে ছিল বেশ উজ্জীবিত। ২০১৭ সালের পর তারা এই প্রথম টানা এত জয় দেখল। তবে সিটির বিপক্ষে সেই জয়রথ থেমেছে, যদিও থেকেছে অপরাজেয়।

এদিন ম্যাচের মাত্র একাদশ মিনিটেই লিড নেয় সিটি। পেনাল্টিতে সফল স্পট কিক নেন হালান্ড। যা নরওয়েজিয়ান তারকার প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ১০০ গোলে অবদানের (গোল এবং অ্যাসিস্ট) রেকর্ড। সিটির জার্সিতে তিনি ৯৪ ম্যাচে ৮৪ গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর আগে ১০০ ম্যাচে শততম গোল (৭৯) ও অ্যাসিস্টের (২১) রেকর্ড ছিল অ্যালান শিয়েরারের। তাকে ছাড়িয়ে এখন সবার শীর্ষে হালান্ড।

এ দিকে গোল খেয়ে ব্রাইটন আর আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ২১ মিনিটেই তারা সমতায় ফেরে পেরভিস ইস্তুপিনিয়ানের গোলে। বিরতির মিনিট ছয়েক আগে ওমর মারমুশের গোলে আবারও লিড নেয় সিটি। তবে সেটি বিরতির পর টিকে মাত্র ৩ মিনিট।

মূলত ডিফেন্ডার আব্দুকোদির খুসানভ আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটনকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন। যা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে সিটি ৪০তম গোল হজম। গার্দিওলার অধীনে যা লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এরপর উভয় দলই লিড নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত আর কারও গোল হয়নি।

ড্রয়ের পর ২৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের সিটির অবস্থান পাঁচে। সমান ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে ব্রাইটন। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে লিভারপুল। এরপর যথাক্রমে অবস্থান আর্সেনাল (৫৫), নটিংহ্যাম ফরেস্ট (৫৪) ও চেলসির (৪৯)।