ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি: ড. ইফতেখারুজ্জামান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আজ রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সহিংসতার বিচার চেয়ে করা মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি সুপারিশ পুলিশে অব্যাহত স্বৈরতান্ত্রিক চর্চার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ধর্ষণ আইন সংস্কারে সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একক মতামতের ভিত্তিতে উক্ত আইন সংস্কার না করে নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর মতামতের সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া ধর্মভিত্তিক ও আশু ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসা সম্ভাব্য দলগুলোকে নারী ও শিশুদের অধিকার ও বৈষম্যের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান ‘সারাদেশে সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বেশি নারীর অধিকার নিশ্চিত করা বা নারীর অধিকার হরণের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব—সেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হলো পুলিশ। গণমাধ্যমকে যখন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার না করার জন্য। তখন আমাদের অবাক হতে হয়, তাদের এই অবস্থানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করি। কারণ এর মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। ধর্ষকের সুরক্ষা দেয়ার উপায় সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। এটা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত। প্রত্যাহার করা উচিত। একইসঙ্গে তিনি আবার গণমাধ্যমকে বলেছেন কম করে ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। এই ধরনের উর্দ্ধত, অগ্রহণযোগ্য আচরণ কোনো একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে প্রত্যাশিত নয়। আমি মনে করি, এই ধরনের পুলিশ কর্মকর্তা যারা আছেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে যখন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন- তা যদি প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতির চর্চার প্রতিফলন হয়। তাহলে আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হবে আমাদের শুধু কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে চর্চার কোনো পরিবর্তন হয় নি।’

এই সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারবে না।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী নয়, নাম প্রচার করতে হবে ধর্ষকের।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ছাড়াও নানা সংগঠন যোগ দেয় মানবন্ধনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি: ড. ইফতেখারুজ্জামান

আপডেট সময় : ০৩:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আজ রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সহিংসতার বিচার চেয়ে করা মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি সুপারিশ পুলিশে অব্যাহত স্বৈরতান্ত্রিক চর্চার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ধর্ষণ আইন সংস্কারে সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একক মতামতের ভিত্তিতে উক্ত আইন সংস্কার না করে নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর মতামতের সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া ধর্মভিত্তিক ও আশু ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসা সম্ভাব্য দলগুলোকে নারী ও শিশুদের অধিকার ও বৈষম্যের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান ‘সারাদেশে সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বেশি নারীর অধিকার নিশ্চিত করা বা নারীর অধিকার হরণের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব—সেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হলো পুলিশ। গণমাধ্যমকে যখন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার না করার জন্য। তখন আমাদের অবাক হতে হয়, তাদের এই অবস্থানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করি। কারণ এর মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। ধর্ষকের সুরক্ষা দেয়ার উপায় সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। এটা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত। প্রত্যাহার করা উচিত। একইসঙ্গে তিনি আবার গণমাধ্যমকে বলেছেন কম করে ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। এই ধরনের উর্দ্ধত, অগ্রহণযোগ্য আচরণ কোনো একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে প্রত্যাশিত নয়। আমি মনে করি, এই ধরনের পুলিশ কর্মকর্তা যারা আছেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে যখন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন- তা যদি প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতির চর্চার প্রতিফলন হয়। তাহলে আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হবে আমাদের শুধু কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে চর্চার কোনো পরিবর্তন হয় নি।’

এই সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারবে না।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী নয়, নাম প্রচার করতে হবে ধর্ষকের।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ছাড়াও নানা সংগঠন যোগ দেয় মানবন্ধনে।