প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া বিকল্প নেই: ইসি সানাউল্লাহ

- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে প্রস্তাবিত পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং এর মধ্যে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ। সোমবার ওআইসিভুক্ত ১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সাথে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে আগামীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতিসহ প্রবাসী ভোটারদের ভোটের সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে মালয়েশিয়া মিশন প্রধান সুহাদা ওসমান বলেন, নির্বাচন’সহ সব বিষয়ে সমর্থন করে মালয়েশিয়ার।
জীবন-জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে বাংলাদেশীরা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশই দেশের তালিকাভুক্ত ভোটার। দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের মধ্যে সৌদি আরব, কুয়েত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে অনেকে।
ওআইসিভুক্ত এমন কুড়ি দেশেই প্রবাসী ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারের অর্ধেকের বেশি। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ভোটার আগামীর নির্বাচনে কিভাবে ভোট দিবেন, সে নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। বেশিরভাগেরই মতামত অনলাইন প্রক্সি ভোটিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটের সুযোগ করে দেয়া নিয়ে।
সোমবার ইসিতে ওআইসিভুক্ত ১৯ দেশের মিশন প্রধানের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা হয় সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নানা বিষয়ে। বৈঠক শেষে মালয়েশিয়া মিশন প্রধান সুহাদা ওসমান বলেন, নির্বাচন’সহ সব সমর্থন আছে তাদের।
এসময় ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আগামীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান কার্যক্রম জানানো হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতি জানিয়েছি। প্রবাসী ভোটার নিয়ে কথা হয়েছে।’
প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে প্রস্তাবিত পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং এর মধ্যে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানানো হয়েছে। যা মন্দের ভালো হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে।’
বৈঠকের দেশসমূহ থেকে কেউ কেউ পর্যবেক্ষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইসির কাছে। সবমিলিয়ে এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশে সৃষ্টি করতে কাজ করছে কমিশন বলেও জানানো হয়।
অতীতের ৩ নির্বাচনের বিষয়ে ইসি বলেন, ‘আমরা বিগত সময়ের দিকে ফিরতে চাই না। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে সৃষ্টি করতে কাজ করছে কমিশন। এবার তা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদী।’
এছাড়াও উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ইলেকশন ডাটাবেজে সার্ভার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি বলেও জানান তিনি। ২০২৮ সালের মধ্যে এর নির্মাণ শেষ করার বিষয়েও জানান ইসি। এতে ব্যয় হবে ৪১ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার।