হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: যুক্তরাষ্ট্র

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

লোহিত সাগরে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজগুলোতে হামলা বন্ধ করার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে হুতিরাও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র হামলা বন্ধ না করলে তারাও পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখবে।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি হুতির বিরুদ্ধে গত শনিবার থেকে বড় ধরনের হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুজন নারী রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৯৮ জন।
তবে এসব সাধারণ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে হামলা শুরু করল যখন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়িয়ে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।
এর আগে ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানকে অবিলম্বে হুতিদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে জবাব দেবে এবং এর ফল ভালো হবে না।
এদিকে হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি গতকাল এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেন, ‘তারা যদি তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, আমরাও জবাব দেওয়া জারি রাখব।’ অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রাখলে হুতিরাও লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা জারি রাখবে।
এদিকে হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের হামলা ইয়েমেনের উত্তর প্রদেশেও সম্প্রসারিত করতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েরি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসে আবারও হুতিদের ওপর হামলার নির্দেশ দিলেন।