ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই ছাত্র উপদেষ্টাসহ সরকারি দপ্তর থেকে ছাত্রদের পদত্যাগ দাবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু সরকার সবার সঙ্গে ইনসাফ না করে গণঅভ্যুত্থানের একটি গোষ্ঠী বা পক্ষের সরকার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন দলটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।

তারা বলেন, যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তিনজন ছাত্র উপদেষ্টা ছিল, তাদের একজন পদত্যাগ করে একটি দলের প্রধান হয়েছেন। সেক্ষেত্রে বাকিরাও সরকারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। আর দল গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কি পদত্যাগকৃত উপদেষ্টা সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিলেন। আর তিনজন ছাত্র উপদেষ্টার একই নেক্সাস। সুতরাং আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বাকি দুজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।

দলটির নেতারা বলেন, ছাত্রদের দল গঠন হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কের কোনও অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সরকারের সব সেক্টর ও দপ্তর থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা অতীব জরুরি।

গণঅধিকার মনে করে, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গভীর উদ্বিগ্ন বলে দিল্লিতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে কোনও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নেই, সংখ্যালঘুদের উপরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং ইতোপূর্বে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে।

রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন জরুরি। যেহেতু এই উপদেষ্টা পরিষদে বিতর্কিত ব্যক্তিরা রয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া জরুরি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই ছাত্র উপদেষ্টাসহ সরকারি দপ্তর থেকে ছাত্রদের পদত্যাগ দাবি

আপডেট সময় : ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু সরকার সবার সঙ্গে ইনসাফ না করে গণঅভ্যুত্থানের একটি গোষ্ঠী বা পক্ষের সরকার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন দলটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।

তারা বলেন, যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তিনজন ছাত্র উপদেষ্টা ছিল, তাদের একজন পদত্যাগ করে একটি দলের প্রধান হয়েছেন। সেক্ষেত্রে বাকিরাও সরকারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। আর দল গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কি পদত্যাগকৃত উপদেষ্টা সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিলেন। আর তিনজন ছাত্র উপদেষ্টার একই নেক্সাস। সুতরাং আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বাকি দুজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।

দলটির নেতারা বলেন, ছাত্রদের দল গঠন হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কের কোনও অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সরকারের সব সেক্টর ও দপ্তর থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা অতীব জরুরি।

গণঅধিকার মনে করে, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গভীর উদ্বিগ্ন বলে দিল্লিতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে কোনও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নেই, সংখ্যালঘুদের উপরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং ইতোপূর্বে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে।

রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন জরুরি। যেহেতু এই উপদেষ্টা পরিষদে বিতর্কিত ব্যক্তিরা রয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া জরুরি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।