ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজা উপত্যকায় আবার ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। আজ (বুধবার, ১৯ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ফলে শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে এরইমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

এতে বলা হয়েছে, নতুন করে এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞার প্রতিফলন।

বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করার, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এছাড়াও বাংলাদেশ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ে এর নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে আবার সংলাপ শুরু করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা আছে।

বাংলাদেশ সকল পক্ষকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহত অর্থহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতির পথ ও শান্তিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা, জাতিসংঘ প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশ্নের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:০৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

গাজা উপত্যকায় আবার ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। আজ (বুধবার, ১৯ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ফলে শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে এরইমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

এতে বলা হয়েছে, নতুন করে এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞার প্রতিফলন।

বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করার, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এছাড়াও বাংলাদেশ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ে এর নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে আবার সংলাপ শুরু করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা আছে।

বাংলাদেশ সকল পক্ষকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহত অর্থহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতির পথ ও শান্তিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা, জাতিসংঘ প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশ্নের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।