নির্বাচন নিয়ে দু-একটি দল ভিন্ন সুরে কথা বলছে: তারেক রহমান

- আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

দু-একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন ইস্যুতে ভিন্ন সূরে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে স্বৈরাচারের ফেরার পথ সুগম হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময়, বিভিন্ন দলের নেতারা জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার ওপর জোর দেন।
আজ বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার মাহফিল। এতে যোগ দেন জামায়াত, এনসিপি, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিভিন্ন দলের নেতারা যেকোনো মূল্যে রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিরোধ দেশের মধ্যে বসার মতো পরিবেশ আসলে থাকে না। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে অনৈক্য তৈরি হলে সেখানে অরাজনৈতিক শক্তিগুলো সুযোগ সন্ধানী হয়ে ওঠে।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সিডিউল দ্রুত দিয়ে দেওয়া। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষের কাছে যেতে পারবে, প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এক একজন মানুষ যদি ২৩০-২৪০ বিলিয়ন টাকা আমাদের দেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায় তাহলে এ দেশের উন্নয়নের কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং এখানে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখনও কঠিন সময় পার করছি, গণতন্ত্র কবে ফিরে আসবে, সে অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে যেন আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলোক পার্লামেন্ট বা সরকার গঠন করতে হবে। যারা নির্ধারণ করবেন পরবর্তী সংস্কারগুলো কী হবে কীভাবে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা এমনকি দুই-একটি রাজনৈতিক দলকেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে ইদানিং ভিন্ন সূরে কথা বলতে শোনা যায়। আমরা মনে করি, জন প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে নতুন বন্দোবস্তের নামে গৌন ইস্যুকে মূখ্য করে অকারণে সময় ক্ষেপণের চেষ্টা হলে, সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।’
নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, দেশের সঙ্কট তত বাড়বে বলেও দাবি করেন বক্তারা।