যুদ্ধ থামাতে চার দফা শর্ত পুতিনের

- আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দাঁড়ি পড়তে চলেছে। রবিবার এমনই আশাপ্রকাশ করেছিলেন মার্কিন আধিকারিকরা। শর্তসাপেক্ষে আপাতত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন যুযুধান দু-দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু হঠাৎ করেই শর্ত আরোপ করে শান্তি চুক্তি নিয়ে বেঁকে বসলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামাতে তিনি রাজি আছেন, একটাই শর্তে, ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। কিন্তু পুতিনের দাবি ইউক্রেন আদৌ মানবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সমস্ত কথা শুনতে হবে। রাশিয়ার হাতে জমি তুলে দিয়ে তিনি মাথানত করবেন না। ফলে যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
ট্রাম্পের দূত হিসাবে বৃহস্পতিবার রাতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। আলোচনা সদর্থক হলেও চারটি শর্ত রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাবে না। যেকোনও শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে হবে। ইউক্রেনের যে জমি রাশিয়ার দখল রয়েছে, সেগুলোর উপর রাশিয়ার অধিকারই কায়েম থাকবে। ইউক্রেনে অন্য দেশের সেনা প্রবেশ করবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এই চারটে বিষয়ে গ্যারান্টি চেয়েছেন পুতিন। ট্রাম্প যদি এই শর্ত মেনে নেন তাহলেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাবেন পুতিন। তার আগে নয়। কিন্তু ইউক্রেন এই শর্তগুলো মানবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মুহূর্তে তুমুল লড়াই চলছে রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে। একে অপরকে একচুল জমিও ছাড়তে নারাজ কিয়েভ আর মস্কো। কয়েকদিন আগেই পুতিনকে বার্তা দিয়ে ট্রাম্প অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তিনি যেন ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণরক্ষা করেন। এই প্রসঙ্গেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘কার্স্কে ইউক্রেনের সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাহলে আমরা কথা দিচ্ছি, তাঁদের প্রাণরক্ষা করব।’ আর এই এতেই জেলেনস্কির অভিযোগ, এভাবেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে শর্ত ও পাল্টা শর্ত চাপিয়ে যুযুধান দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কীভাবে যুদ্ধ থামাতে সহমত হবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।