Flag - bd
Bengali
ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্যর্থতার বৃত্তে দেশের ক্রিকেট, বিশ্বমঞ্চে সাফল্য মিলবে কবে?

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘদিন ধরে সাফল্য থেকে দূরে দেশের ক্রিকেট। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের শিরোপা এলেও জাতীয় দলে নেই বলার মতো অর্জন। দেশের ক্রিকেটের চলমান সংকট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ফাহিম সিনহা।

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বড় সাফল্যের দেখা বেশ কবারই পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ২০২০ বিশ্বকাপ জয়, ২০২৪-এ এশিয়া কাপের শিরোপা। কিন্তু সেই তরুণ যুবারা জাতীয় পর্যায়ে অনিয়মিত, আইসিসি ইভেন্টগুলোতেও জাতীয় দলের পারফরমেন্স নিয়মিত প্রশ্নবিদ্ধ।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? এখন টিভির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ফাহিম সিনহার কাছে।

তিনি বলেন, ‘কো-অর্ডিনেশনে কোনো গ্যাপ আছে কি না অর্থাৎ জাতীয় দলের সাথে সিনক্রোনাইজেশনে কোনো গ্যাপ হচ্ছে কি না। এই জিনিসটা খুঁজে বের করার জন্য আলাদাভাবে আমরা কোচ ও সিলেক্টরদের সাথে কথা বলেছি। গ্যাপটা খোঁজার চেষ্টা করবো যেন সুন্দর গোছানো একটা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে কাজ করতে পারি।’

সাম্প্রতিক সময়ে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আয়োজিত হয়েছে ইয়ুথ ক্রিকেট লিগ। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে থাকছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এইচপির কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকেও বেরিয়ে আসবে পাইপলাইনের খেলোয়াড়। কিন্তু তারা যে আগের মতো পথ হারাবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কি?

ফাহিম সিনহা বলেন, ‘যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাম্পগুলো হয় তখন জাতীয় দলের কোচ থেকে একটা প্রেসক্রিপশন থাকে যে তোমরা দলে একটা লেগ স্পিনার সুযোগ দাও। বা পাইপলাইনে আমাদের একটা পেস বোলার অলরাউন্ডার দরকার। আমার মনে হয় নরমালি এগুলো হয়ে আসছে। আমরা যখন বসা শুরু করবো কোচ, সিলেক্টররা যখন এক টেবিলে থাকবে তখন এই গ্যাপ খুঁজে বের করা আরও সুবিধা হবে।’

দেশের পাঁচ সেরা ক্রিকেটারের পর জাতীয় দলে নেই কোনো নিয়মিত পারফর্মার। হৃদয়, জাকের আলিরা কি পারবেন বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের কাণ্ডারি হতে? বিসিবি পরিচালক জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য খরার মূল কারণ খুঁজে বের করতে একসাথে বসবে ক্রিকেট বোর্ডের চারটি বিভাগ।

ফাহিম সিনহা বলেন, ‘তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ এরা কিন্তু দুই আড়াই বছর আগে কোথাও ছিল না, নতুন নতুন ঢুকেছে। আমরা কিন্তু এদের থেকে সেই ভরসাটা রাখতেই পারি যে এরা ভবিষ্যতে আরেকটা লেভেল এগিয়ে গিয়ে আমাদের দলের হালটা ধরে নিবে আরকি। অপারেশনস, টাইগার্স, এইচপি, ডেভলপমেন্ট এই চারটা বিভাগ একসাথে না বসলে এগুলো ওভারকাম করা খুব কঠিন। এটা আমরা অনুধাবন করেছি।’

আগস্টে পট পরিবর্তনের পর দেশের ক্রিকেটেও এসেছে পরিবর্তনের হাওয়া। তবে খেলোয়াড় পরিবর্তন হলেও দেশের ক্রিকেটে যুক্ত হয়নি নতুন কোন সাফল্যের মুকুট। ভক্তদের আশা, দ্রুতই কাটুক লাল সবুজের জার্সির সাফল্য খরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যর্থতার বৃত্তে দেশের ক্রিকেট, বিশ্বমঞ্চে সাফল্য মিলবে কবে?

আপডেট সময় : ০১:১৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে সাফল্য থেকে দূরে দেশের ক্রিকেট। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের শিরোপা এলেও জাতীয় দলে নেই বলার মতো অর্জন। দেশের ক্রিকেটের চলমান সংকট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ফাহিম সিনহা।

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বড় সাফল্যের দেখা বেশ কবারই পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ২০২০ বিশ্বকাপ জয়, ২০২৪-এ এশিয়া কাপের শিরোপা। কিন্তু সেই তরুণ যুবারা জাতীয় পর্যায়ে অনিয়মিত, আইসিসি ইভেন্টগুলোতেও জাতীয় দলের পারফরমেন্স নিয়মিত প্রশ্নবিদ্ধ।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? এখন টিভির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ফাহিম সিনহার কাছে।

তিনি বলেন, ‘কো-অর্ডিনেশনে কোনো গ্যাপ আছে কি না অর্থাৎ জাতীয় দলের সাথে সিনক্রোনাইজেশনে কোনো গ্যাপ হচ্ছে কি না। এই জিনিসটা খুঁজে বের করার জন্য আলাদাভাবে আমরা কোচ ও সিলেক্টরদের সাথে কথা বলেছি। গ্যাপটা খোঁজার চেষ্টা করবো যেন সুন্দর গোছানো একটা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে কাজ করতে পারি।’

সাম্প্রতিক সময়ে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আয়োজিত হয়েছে ইয়ুথ ক্রিকেট লিগ। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে থাকছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এইচপির কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকেও বেরিয়ে আসবে পাইপলাইনের খেলোয়াড়। কিন্তু তারা যে আগের মতো পথ হারাবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কি?

ফাহিম সিনহা বলেন, ‘যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাম্পগুলো হয় তখন জাতীয় দলের কোচ থেকে একটা প্রেসক্রিপশন থাকে যে তোমরা দলে একটা লেগ স্পিনার সুযোগ দাও। বা পাইপলাইনে আমাদের একটা পেস বোলার অলরাউন্ডার দরকার। আমার মনে হয় নরমালি এগুলো হয়ে আসছে। আমরা যখন বসা শুরু করবো কোচ, সিলেক্টররা যখন এক টেবিলে থাকবে তখন এই গ্যাপ খুঁজে বের করা আরও সুবিধা হবে।’

দেশের পাঁচ সেরা ক্রিকেটারের পর জাতীয় দলে নেই কোনো নিয়মিত পারফর্মার। হৃদয়, জাকের আলিরা কি পারবেন বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের কাণ্ডারি হতে? বিসিবি পরিচালক জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য খরার মূল কারণ খুঁজে বের করতে একসাথে বসবে ক্রিকেট বোর্ডের চারটি বিভাগ।

ফাহিম সিনহা বলেন, ‘তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ এরা কিন্তু দুই আড়াই বছর আগে কোথাও ছিল না, নতুন নতুন ঢুকেছে। আমরা কিন্তু এদের থেকে সেই ভরসাটা রাখতেই পারি যে এরা ভবিষ্যতে আরেকটা লেভেল এগিয়ে গিয়ে আমাদের দলের হালটা ধরে নিবে আরকি। অপারেশনস, টাইগার্স, এইচপি, ডেভলপমেন্ট এই চারটা বিভাগ একসাথে না বসলে এগুলো ওভারকাম করা খুব কঠিন। এটা আমরা অনুধাবন করেছি।’

আগস্টে পট পরিবর্তনের পর দেশের ক্রিকেটেও এসেছে পরিবর্তনের হাওয়া। তবে খেলোয়াড় পরিবর্তন হলেও দেশের ক্রিকেটে যুক্ত হয়নি নতুন কোন সাফল্যের মুকুট। ভক্তদের আশা, দ্রুতই কাটুক লাল সবুজের জার্সির সাফল্য খরা।