শহীদের মেয়েকে ধর্ষণ: আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার চান নাহিদ

- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল পটুয়াখালী। ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীকে দেখতে পটুয়াখালী গেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি অভিযুক্ত আসামিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনার দ্রুত বিচারেরও দাবি জানান নাহিদ।
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকিতে নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন ১৭ বছরের মেয়ে। রাস্তায় একা পেয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সি নামে দুই যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাকিব মুন্সীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও এখনো পলাতক রয়েছে সিফাত মুন্সী। এ ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগীকে দেখতে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। প্রশাসন যদি আসামিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজপথে অবস্থান নেবে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ দেখতে চাই এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার চাই।’
ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্যসেবা ও আইনি সহায়তাসহ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।
এ সময় নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান।
অপরদিকে এ ঘটনায় দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, অপরাধীদের কেউ কেউ বিএনপি পরিবারের সদস্য বলে অপপ্রচার করছেন। মূলত দলীয় ট্যাগ লাগালে অপরাধীরা লাভবান হয়। সুতরাং অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় নয়।
এর আগে সকাল ৯টায় হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে যান জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান মুঠোফোনে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা দেন। ভবিষ্যতে পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন জামায়াতের আমির।