আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে চাপ দেওয়া হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

- আপডেট সময় : ০২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে চাপা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।
গত ১১ মার্চ দুপুরে একটি ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের।
তিনিসহ আরও দুজনের কাছে আওয়ামী লীগকে ফেরানো নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা। তিনি লিখেছেন, আপনি দেখবেন, গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা এ সময় জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তবে হত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দলটির নেতাদের আদালতের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মাথায় আওয়ামী লীগকে ফেরানো নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, জুলাই আন্দোলনের সময়ও আমাদের দিয়ে অনেককিছু করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের ওপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সাথে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপোষ করার সুযোগ নাই।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা লিখেছেন, আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দেব না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।
আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগ ৫ আগস্টেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ওপেন করার চেষ্টা করে লাভ নেই।
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে রাজু ভাস্কর্যের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করতে হবে।