গাজায় ৩ দিনে নিহত প্রায় ৬০০

- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ব্যাপকভাবে স্থল অভিযান চালাচ্ছে তারা। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার পর টানা হামলায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনে প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার এক আল জাজিরার লাইভে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চলছে এবং সেনারা বেইত লাহিয়া শহর এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের কাছে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
গাজার চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে ৫৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং স্থল আক্রমণ তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গাজার বাসিন্দাদের স্থল সীমান্তের তিন পাশের বিশাল এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এতেই শিগগিরই আরও বড় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
বিবিসি বলছে, এই নির্দেশ ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যারা যুদ্ধের কারণে বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ি ফিরে এসেছেন তাদে মধ্যে বেশি আতঙ্ক এখন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস এখনও ৫৯ জন জিম্মিকে ধরে রেখেছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘শেষ সতর্কতা’ জারি করে সেখানে আটক অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি কোনো দাবিই পূরণ না হয়, তাহলে বিকল্প হবে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ধ্বংসযজ্ঞ’।
আগেরদিন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তারা পূর্ণশক্তিতে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করেছেন এবং যেকোনো যুদ্ধবিরতি আলোচনা এখন ‘আগুনের মুখেই’ হবে।
প্রতিবেদন বলছে, গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এর দু পক্ষের আলোচনা চলছে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েল এবং হামাস প্রথম পর্যায়ের পরে যুদ্ধবিরতি কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে। দু পক্ষই এ নিয়ে পরষ্পরকে দুষছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। জিম্মিদের মধ্যে ২৫ জনকে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে জীবিত মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওইদিন থেকে ইসরায়েলের আক্রমণে ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।