টাঙ্গাইলে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারটি সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
২০২২ সালে ঘাটাইলের দেওপাড়া খাকুরিয়া এলাকায় ৫২ মিটার দীর্ঘ সেতুর কাজ শুরুর কথা থাকলেও ২০২৩ সালেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও শেষ হয়নি প্রকল্পটি। দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ বেশকিছু কাজ বাকি থাকায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয়দের। শুকনা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও বর্ষায় ঘুরে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার।
দেওপাড়ার মতো কালিহাতির বড়চওনা সড়কের হরিপুর, বেতডোবা এবং রাজাফৈর এলাকায় তিনটি সেতুর কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে না পারায় আবারও সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও, এরইমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে প্রকল্পের বেশিরভাগ অর্থ।
দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে দেওপাড়া সেতুর ঠিকাদা নজরুল ইসলাম ফোনকলে বলেন, ‘প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন আছে শুধু অ্যাপ্রোচ, উপরের কিছু রেলিং আর অ্যাপ্রোচ রোড।’
বেতডোবা সেতুর ঠিকাদার মো. শাহীন বলেন, ‘মূল ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন অ্যাপ্রোচের কাজ চলছে। হয়ত তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে।’
টাঙ্গাইল সুজনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তরুণ ইউসুফ বলেন, ‘এলজিইডি, যারা এ ধরণের কাজ করে তাদের গাফিলতিটাই এটা মূলত। তাদের সক্রিয় হওয়া উচিত।’
বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে না পারায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে কিছু ঠিকাদারকে ট্রেস করা যাচ্ছিল না। এখন তাদের ট্রেস করা গেছে। এখন কাজ করার জন্য যে প্রক্রিয়া সেটা আমরা করছি। আশা করছি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে আমরা ব্রিজগুলো চলাচলের উপযোগী করে দিতে পারবো।’
বর্ষার আগে সেতুগুলোর কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ কমানোর দাবি স্থানীয়দের।