ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেষ মুহূর্তের গোলে রোমাঞ্চকর জয় ব্রাজিলের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ম্যাচের যোগ করা সময়ের নবম মিনিটের খেলা চলছে। যোগ করা সময়ের খেলা শেষ হতে ঘড়ির কাটায় আর ৯০ সেকেন্ডের মতো বাকি। তখন পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১। ব্রাজিলের আক্রমণগুলো যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছিল, তাতে মনে হয়েছিল, ম্যাচটা ড্র হতে যাচ্ছে। এমন সময় ব্রাজিলের ত্রাতা হয়ে হাজির হন ভিনিসিয়ুস। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার দারুণ এক শটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়ান রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। তাতে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দরিফাউ জুনিয়রের দল।

ব্রাজিলের জন্য আজকের ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবারের দেখায় ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে লিড ধরে রাখতে পারেনি সেলেসাওরা। ঘরের মাঠে ম্যাচের ৭৫ আর ৭৯ মিনিটে লুইস দিয়াসের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছিল কলম্বিয়া।

আজ নিজেদের মাঠে একই ব্যবধানে কলম্বিয়াকে হারিয়ে প্রতিশোধটা দারুণভাবে নিল ব্রাজিল। স্বস্তির এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেল ব্রাজিল। আর সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে কলম্বিয়া। এক ম্যাচ কম খেলা আর্জেন্টিনা ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে।

আজ অ্যারেনা বিআরবি মানে গারিঞ্চাতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ভিনিসিয়ুসকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন কলম্বিয়া রাইটব্যাক দানিয়েল মুনোস। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি অ্যালেক্সিস অ্যরেরা। স্পটকিকে কলম্বিয়া গোলকিপারকে বিপরীতদিকে পাঠিয়ে ঠান্ডা মাথায় স্কোরলাইন করেন ১-০ বার্সা উইঙ্গার।

শুরুতেই গোল পেয়ে উজ্জীবিত ব্রাজিল ধাক্কা খায় ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। পেশীতে টান লাগায় হঠাৎ মাঝমাঠে শুয়ে পড়েন গেরসন। অস্বস্তি ফুটে ওঠে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের চোখে-মুখে। মাঠে ছুটে যায় চিকিৎসক দল। তাতে আশাব্যঞ্জক কিছু হয়নি। মাঠ ছেড়ে উঠে যান গেরসন। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জোলেনিন্তন। আর বদলি নামা জোয়েলিন্তনের ভুলেই বিরতির আগে গোল হজম করে বসে ব্রাজিল!

ম্যাচের ৪১ মিনিটে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরানো গোলটা করেন লুইস দিয়াস। এ গোলে জোয়েলিন্তনের অবদান কম নয়! সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে বিলম্ব করেন নিউনিক্যাসল ইউনাইটেডে খেলা এ মিডফিল্ডার। এ সুযোগে জোয়েলিন্তনের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি বক্সের বাঁ প্রান্তে থাকা দিয়াসকে বল বাড়ান হামেস রদ্রিগেস। সে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একটু এগিয়ে পজিশন তৈরি করে দারুণ শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন লিভারপুল স্ট্রাইকার।

২ মিনিট পর আবারও গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু দারুণ আক্রমণ হলেও ডি বক্সের ভেতর থেকে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি জন আরিয়াস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া কলম্বিয়া বেশ কিছু চেষ্টা চালালেও তা আটকে যায় ব্রাজিল রক্ষণে। এতে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুদল।

বিরতির পর ব্রাজিল প্রথম বড় সুযোগটা পায় ম্যাচের ৫৩ মিনিটে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন রাফিনিয়া। সেটা ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়া গোলকিপার কামিলো ভারগাস। ফিরতি বল পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গারের শটও ঠেকান ভারগাস। এরপরও বল ছিল ভিনিসিয়ুসের সামনে। তবে জটলা থাকায় আর শট নিতে পারেননি। এরপরও পজিশন তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু বেশি সময় নেওয়ায় দাভিনসন সানচেস কলম্বিয়াকে বিপদমুক্ত করেন।

ম্যাচের ৬৩ মিনিটে একবার ব্রাজিলের গোললাইন অতিক্রম করেছিল বল। হামেস রদ্রিগেসের ফ্রি-কিকে দুর্বল হেড করেছিলেন সানচেস। উপরে ওঠা বল হাত দিয়ে ঠেলে দিয়েছিলেন আলিসন বেকার। কিন্তু সে বলটা সামনে দাঁড়ানো জোয়েলিন্তনের পায়ে লেগে উল্টো ব্রাজিলের গোললাইনই অতিক্রম করে। গোলের আনন্দে মাতে কলম্বিয়া। তবে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। তাতে এ যাত্রায় বেঁচে যায় ব্রাজিল।

পরের মিনিটে দারুণ প্রতিআক্রমণে গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুসের বলে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি রাফিনিয়া।

এরপর ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে, দুদলই শারীরিক ফুটবলে মনোযোগী হয়েছে। এর মধ্যে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফ্রি-কিক ঠেকাতে গোলপোস্ট থেকে কিছুটা এগিয়ে পাঞ্চ করেন আলিসন। দুর্ভাগ্যবশত ব্রাজিল গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় দাভিনসন সানচেসের। এতে মাঠে পড়ে যান সানচেস। চিকিৎসক দল এসে বেশ কিছু সময় নিয়ে চেষ্টা চালানোর পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় কলম্বিয়া ডিফেন্ডারকে।

সংঘর্ষে আঘাত পেয়েছেন আলিসনও। লিভারপুল গোলকিপারকে তুলে নিয়ে বেন্তোকে মাঠে নামান দরিফাউ। একইসঙ্গে রদ্রিগো, গিমারেস, ভেন্দেরসনকেও তুলে নিয়ে সাভিনিও, আন্দ্রে ও ওয়েসলেকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ। তাতে ব্রাজিলের আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ে বটে, কিন্তু ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়াদের দারুণ সব আক্রমণ পরিণতি পাচ্ছিল না বাজে ফিনিশিংয়ের কারণে।

নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের পরিণতি যখন ড্র বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখনই ব্রাজিলকে উদ্ধার করতে হাজির হন ভিনিসিয়ুস। দৃষ্টিনন্দন গোলে আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রস্তুতিটাও নিয়ে রাখলেন মাদ্রিদ উইঙ্গার। পরের ম্যাচে আগামী বুধবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে দরিফাউ জুনিয়রের শিষ্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেষ মুহূর্তের গোলে রোমাঞ্চকর জয় ব্রাজিলের

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ম্যাচের যোগ করা সময়ের নবম মিনিটের খেলা চলছে। যোগ করা সময়ের খেলা শেষ হতে ঘড়ির কাটায় আর ৯০ সেকেন্ডের মতো বাকি। তখন পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১। ব্রাজিলের আক্রমণগুলো যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছিল, তাতে মনে হয়েছিল, ম্যাচটা ড্র হতে যাচ্ছে। এমন সময় ব্রাজিলের ত্রাতা হয়ে হাজির হন ভিনিসিয়ুস। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার দারুণ এক শটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়ান রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। তাতে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দরিফাউ জুনিয়রের দল।

ব্রাজিলের জন্য আজকের ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবারের দেখায় ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে লিড ধরে রাখতে পারেনি সেলেসাওরা। ঘরের মাঠে ম্যাচের ৭৫ আর ৭৯ মিনিটে লুইস দিয়াসের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছিল কলম্বিয়া।

আজ নিজেদের মাঠে একই ব্যবধানে কলম্বিয়াকে হারিয়ে প্রতিশোধটা দারুণভাবে নিল ব্রাজিল। স্বস্তির এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেল ব্রাজিল। আর সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে কলম্বিয়া। এক ম্যাচ কম খেলা আর্জেন্টিনা ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে।

আজ অ্যারেনা বিআরবি মানে গারিঞ্চাতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ভিনিসিয়ুসকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন কলম্বিয়া রাইটব্যাক দানিয়েল মুনোস। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি অ্যালেক্সিস অ্যরেরা। স্পটকিকে কলম্বিয়া গোলকিপারকে বিপরীতদিকে পাঠিয়ে ঠান্ডা মাথায় স্কোরলাইন করেন ১-০ বার্সা উইঙ্গার।

শুরুতেই গোল পেয়ে উজ্জীবিত ব্রাজিল ধাক্কা খায় ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। পেশীতে টান লাগায় হঠাৎ মাঝমাঠে শুয়ে পড়েন গেরসন। অস্বস্তি ফুটে ওঠে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের চোখে-মুখে। মাঠে ছুটে যায় চিকিৎসক দল। তাতে আশাব্যঞ্জক কিছু হয়নি। মাঠ ছেড়ে উঠে যান গেরসন। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জোলেনিন্তন। আর বদলি নামা জোয়েলিন্তনের ভুলেই বিরতির আগে গোল হজম করে বসে ব্রাজিল!

ম্যাচের ৪১ মিনিটে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরানো গোলটা করেন লুইস দিয়াস। এ গোলে জোয়েলিন্তনের অবদান কম নয়! সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে বিলম্ব করেন নিউনিক্যাসল ইউনাইটেডে খেলা এ মিডফিল্ডার। এ সুযোগে জোয়েলিন্তনের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি বক্সের বাঁ প্রান্তে থাকা দিয়াসকে বল বাড়ান হামেস রদ্রিগেস। সে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একটু এগিয়ে পজিশন তৈরি করে দারুণ শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন লিভারপুল স্ট্রাইকার।

২ মিনিট পর আবারও গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু দারুণ আক্রমণ হলেও ডি বক্সের ভেতর থেকে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি জন আরিয়াস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া কলম্বিয়া বেশ কিছু চেষ্টা চালালেও তা আটকে যায় ব্রাজিল রক্ষণে। এতে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুদল।

বিরতির পর ব্রাজিল প্রথম বড় সুযোগটা পায় ম্যাচের ৫৩ মিনিটে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন রাফিনিয়া। সেটা ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়া গোলকিপার কামিলো ভারগাস। ফিরতি বল পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গারের শটও ঠেকান ভারগাস। এরপরও বল ছিল ভিনিসিয়ুসের সামনে। তবে জটলা থাকায় আর শট নিতে পারেননি। এরপরও পজিশন তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু বেশি সময় নেওয়ায় দাভিনসন সানচেস কলম্বিয়াকে বিপদমুক্ত করেন।

ম্যাচের ৬৩ মিনিটে একবার ব্রাজিলের গোললাইন অতিক্রম করেছিল বল। হামেস রদ্রিগেসের ফ্রি-কিকে দুর্বল হেড করেছিলেন সানচেস। উপরে ওঠা বল হাত দিয়ে ঠেলে দিয়েছিলেন আলিসন বেকার। কিন্তু সে বলটা সামনে দাঁড়ানো জোয়েলিন্তনের পায়ে লেগে উল্টো ব্রাজিলের গোললাইনই অতিক্রম করে। গোলের আনন্দে মাতে কলম্বিয়া। তবে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। তাতে এ যাত্রায় বেঁচে যায় ব্রাজিল।

পরের মিনিটে দারুণ প্রতিআক্রমণে গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুসের বলে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি রাফিনিয়া।

এরপর ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে, দুদলই শারীরিক ফুটবলে মনোযোগী হয়েছে। এর মধ্যে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফ্রি-কিক ঠেকাতে গোলপোস্ট থেকে কিছুটা এগিয়ে পাঞ্চ করেন আলিসন। দুর্ভাগ্যবশত ব্রাজিল গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় দাভিনসন সানচেসের। এতে মাঠে পড়ে যান সানচেস। চিকিৎসক দল এসে বেশ কিছু সময় নিয়ে চেষ্টা চালানোর পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় কলম্বিয়া ডিফেন্ডারকে।

সংঘর্ষে আঘাত পেয়েছেন আলিসনও। লিভারপুল গোলকিপারকে তুলে নিয়ে বেন্তোকে মাঠে নামান দরিফাউ। একইসঙ্গে রদ্রিগো, গিমারেস, ভেন্দেরসনকেও তুলে নিয়ে সাভিনিও, আন্দ্রে ও ওয়েসলেকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ। তাতে ব্রাজিলের আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ে বটে, কিন্তু ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়াদের দারুণ সব আক্রমণ পরিণতি পাচ্ছিল না বাজে ফিনিশিংয়ের কারণে।

নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের পরিণতি যখন ড্র বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখনই ব্রাজিলকে উদ্ধার করতে হাজির হন ভিনিসিয়ুস। দৃষ্টিনন্দন গোলে আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রস্তুতিটাও নিয়ে রাখলেন মাদ্রিদ উইঙ্গার। পরের ম্যাচে আগামী বুধবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে দরিফাউ জুনিয়রের শিষ্যরা।