আকাশপথে যাত্রী চাপ কম, থাকছে বিমানের ১৩ অতিরিক্ত ফ্লাইট

- আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের আকাশপথে এবার বাড়ি ফেরা যাত্রীর চাপ তেমন একটা নেই। তাই বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো থেকে এখনও আসেনি অতিরিক্ত ফ্লাইটের ঘোষণা। তারা বলছে, সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ায় গেলো বছর থেকেই আকাশপথে বাড়ি ফেরা যাত্রীর চাপ কম। তবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৩টি অতিরিক্ত ফ্লাইট চলবে তিনটি রুটে।
ঈদ এলে বাড়ি ফেরার চিত্র খুব সাধারণ। সড়ক, স্থল কিংবা জলপথ সবখানেই থাকে উপচে পড়া ভিড়। তবে গেল কয়েক বছর ধরে আকাশপথেও থাকে ঈদযাত্রার আমেজ। অল্পসময় আর ভোগান্তিহীন যাত্রায় অনেকেই হাওয়াই জাহাজে চেপে ফেরেন ঘরে।
প্রতিবার ঈদ এলে তাই নাগালের বাইরে চলে যায় বিমানের টিকিটের দাম। যাত্রীচাপে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ঘোষণা আসে এয়ারলাইন্সগুলো থেকে।
তবে এবারের চিত্র খানিকটা ভিন্ন। এ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে টিকিটের চাপ তেমন একটা নেই। ২৫ মার্চ থেকে চাপ বাড়ার প্রত্যাশা এয়ারলাইন্সগুলোর। তাই বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো থেকে এখনও আসেনি অতিরিক্ত ফ্লাইটের ঘোষণা। তবে ঈদের দিন থেকে পরের তিনদিন কক্সবাজার রুটে পর্যটকের চাপ আছে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে বিগত বছরগুলোতে যেভাবে ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর যশোর বা বরিশাল সেগুলোতে। কিন্তু চলতি বছর সে চাপটা দেখছি না। যার ফলশ্রুতিতে এ বছর কোনো অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রোভাইড করিনি।’
তারা বলছে, সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ায় গেলো বছর থেকেই আকাশপথে বাড়ি ফেরা যাত্রীর চাপ কম।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে যে সমস্যাটা ছিল ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে আসলে একটা লম্বা সময়ের ব্যাপার ছিল। রাস্তাঘাটে অনেক সমস্যা ছিল, যানজটের ব্যাপার ছিল। উত্তরবঙ্গে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লেগে যেত। সবকিছু মিলিয়ে ওভারকাম করে রোড ট্রান্সপোর্ট এবং রেলওয়ের যে বেনিফিটগুলো আছে যে জায়গাটা অনেক বেশি কমফোর্ট হওয়ার কারণে তার একটা প্রভাব বিমানে পড়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়।’
তবে ব্যতিক্রম রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে তাদের অতিরিক্ত ১৩টি ফ্লাইট চলবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, ‘চাপ থাকে বলেই তো আমরা ফ্লাইটটা বাড়ালাম। রাজশাহীতে নরমালি সপ্তাহে চারটা ফ্লাইট। সে জায়গায় আমরা প্রতিদিনই দিচ্ছি ২৫ তারিখ থেকে। আর ৩০ তারিখে দুইটা ফ্লাইট দিচ্ছি। বরিশালে আমাদের সপ্তাহে তিনটা ফ্লাইট সেখানে আরও একটা বাড়ানো হয়েছে ঈদের চাপটা সামলানোর জন্য। আর সৈয়দপুরে প্রতিদিন একটা করে যায় সে জায়গাতেও আমরা দুইটা করে দিয়েছি।’
প্রতিবার ঈদে দেশের যাত্রীদের বিদেশযাত্রার প্রবণতা দেখা গেলেও এবার সেখানেও ভাটা। তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরা যাত্রীর চাপ আছে।