ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমরা ঝগড়া করে আ. লীগকে সবার সামনে নিয়ে আসছি: মান্না

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এবং নির্বাচনে আনা নিয়ে চলমান সাম্প্রতিক আলোচনা প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘রাজনীতিতে আবার ফেরার জন্য আওয়ামী লীগ নিজে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা কেউ কেউ, যাঁরা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সমঝোতার প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। এটা রাজনৈতিক প্রস্তাব। তবে সরকার ও সরকারপ্রধান জনগণকে আহ্বান জানাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত মাসে সাড়ে সাত সেন্টিমিটারও অগ্রগতি করতে পারেনি। তিনি বলেন, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, মানুষের সহানুভূতি পাবে, এমন কোনো বক্তব্য তারা দিতে পারেনি। এই রকম পরিস্থিতিতে রাজনীতি করে জনগণের সামনে এসে দাঁড়াতে পারবে, সে সম্ভাবনা দেখি না।’

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সমঝোতার প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছে এবং ছাত্ররা বলছে, এ রকম সমঝোতা কারও কারও সঙ্গে নাকি হয়েছে। এ জন্য কোনো কোনো দল কথা বলেনি এবং এখনো বলছে না। সমঝোতা করেই যদি নির্বাচন হয়, তবে এগুলো করার দরকার কী। সংস্কার তো কোনো কাজই করবে না। যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এত বছর লড়াই করে গণতন্ত্রের পথ এসেছে।’ সরকারকে এ ব্যাপারে সন্তোষজনক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের বলেন, ‘সংস্কারের নামে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন, দেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ও সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি, ৫০৫ আসনের আইনসভা ইত্যাদি প্রস্তাবনা নিয়ে অহেতুক সময় এবং সম্পদের অপব্যবহার করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এখন সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, সেদিকে পূর্ণ মনোযোগ না দিয়ে সংস্কারের নামে কিছু অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক প্রস্তাবের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।’

মনজুর কাদের আরও বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কমিশন প্রায় ৭৫০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। পরবর্তীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য উত্থাপন করে। নাগরিক ঐক্য এ প্রস্তাবগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে মতামত প্রদান করেছে, যেখানে ১০৪টি সুপারিশের প্রতি একমত, ৫১টি সুপারিশের প্রতি অসম্মতি এবং ১১টি সুপারিশের প্রতি আংশিক সম্মতি জানানো হয়েছে। আমাদের মতে, ৯৩টি সংস্কার নির্বাচনের আগেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং ২২টি সংস্কার নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা ঝগড়া করে আ. লীগকে সবার সামনে নিয়ে আসছি: মান্না

আপডেট সময় : ০৭:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এবং নির্বাচনে আনা নিয়ে চলমান সাম্প্রতিক আলোচনা প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘রাজনীতিতে আবার ফেরার জন্য আওয়ামী লীগ নিজে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা কেউ কেউ, যাঁরা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সমঝোতার প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। এটা রাজনৈতিক প্রস্তাব। তবে সরকার ও সরকারপ্রধান জনগণকে আহ্বান জানাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত মাসে সাড়ে সাত সেন্টিমিটারও অগ্রগতি করতে পারেনি। তিনি বলেন, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, মানুষের সহানুভূতি পাবে, এমন কোনো বক্তব্য তারা দিতে পারেনি। এই রকম পরিস্থিতিতে রাজনীতি করে জনগণের সামনে এসে দাঁড়াতে পারবে, সে সম্ভাবনা দেখি না।’

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সমঝোতার প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছে এবং ছাত্ররা বলছে, এ রকম সমঝোতা কারও কারও সঙ্গে নাকি হয়েছে। এ জন্য কোনো কোনো দল কথা বলেনি এবং এখনো বলছে না। সমঝোতা করেই যদি নির্বাচন হয়, তবে এগুলো করার দরকার কী। সংস্কার তো কোনো কাজই করবে না। যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এত বছর লড়াই করে গণতন্ত্রের পথ এসেছে।’ সরকারকে এ ব্যাপারে সন্তোষজনক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের বলেন, ‘সংস্কারের নামে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন, দেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ও সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি, ৫০৫ আসনের আইনসভা ইত্যাদি প্রস্তাবনা নিয়ে অহেতুক সময় এবং সম্পদের অপব্যবহার করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এখন সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, সেদিকে পূর্ণ মনোযোগ না দিয়ে সংস্কারের নামে কিছু অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক প্রস্তাবের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।’

মনজুর কাদের আরও বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কমিশন প্রায় ৭৫০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। পরবর্তীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য উত্থাপন করে। নাগরিক ঐক্য এ প্রস্তাবগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে মতামত প্রদান করেছে, যেখানে ১০৪টি সুপারিশের প্রতি একমত, ৫১টি সুপারিশের প্রতি অসম্মতি এবং ১১টি সুপারিশের প্রতি আংশিক সম্মতি জানানো হয়েছে। আমাদের মতে, ৯৩টি সংস্কার নির্বাচনের আগেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং ২২টি সংস্কার নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।