ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

একই মালিকের একাধিক মিডিয়া থাকতে পারবে না: কামাল আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে এক মালিকের একাধিক সংবাদমাধ্যম না রাখা এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি আইনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। পরে তিনি যমুনার সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘গণমাধ্যমের মালিকানায় সমস্যা রয়ে গেছে। অনেক সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু মালিকানায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা বলেছি ক্রস ওনারশিপ বাতিল করতে হবে। একই মালিকের একাধিক সংবাদমাধ্যম থাকতে পারবে না। একটিকে বেছে নিতে হবে মালিককে। সেক্ষেত্রে অন্যগুলোর মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে অথবা যেটি সবচেয়ে শক্তিশালী তার সঙ্গে একীভূত করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরাও যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন সেটিও বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের মালিকানা নিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এমন বিধান আছে।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের ইতিহাস পর্যালোচনা করে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করেছি। টেলিভিশন, সংবাদপত্র, রেডিও ও অনলাইনে বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে, তবে সাংবাদিকতার সমস্যা সব জায়গায় একই ধরনের।’

টেলিভিশনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদনের আবেদন দেখছি, কোথাও জনগণের কথা বলা হয়নি। সবাই সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে চেয়েছে, ইতিবাচক সংবাদ-কন্টেন্ট দেখাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সারা দুনিয়ার স্ট্যান্ডার্ড দেখেছি আমরা। সে অনুযায়ী সুপারিশগুলো করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের স্বায়ত্তশাসনের সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে কামাল আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান এই দুটি সংবাদ মাধ্যম চালাবে, এর জন্য একটি সম্প্রচার সংস্থা করার কথা বলেছি।’

কামাল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকতার পথে বাধা তৈরি করে এমন যেসব আইন ও সরকারি নীতিমালা রয়েছে সে সম্পর্কে সুপারিশ দিয়েছি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রেখেছি। এমনকি আমরা আইনটি কেমন হতে পারে তার জন্য একটি খসড়া অধ্যাদেশ যুক্ত করে দিয়েছি। উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারতে এমন আইন পার্লামেন্টে বিবেচনাধীন রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে এই আইন করেছে। সেখানে চাইলেও সাংবাদিকের ফোন তল্লাশি করতে পারে না সরকারি বেসরকারি কেউ।’

বিসিএস নবম গ্রেডের সমান বেতন-ভাতা সাংবাদিকতায় এন্ট্রিলেভেলে রাখতে বলা হয়েছে। সারা দেশে এটি কার্যকর করতে হবে। ঢাকায় যারা থাকেন তাদের জন্য আলাদা ভাতা থাকবে এখানে। প্রথমে এক বছরের শিক্ষানবিশকাল পার করেই তারপর স্থায়ী সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। আর ওয়েজবোর্ড নিয়ে মামলা চলমান, এই অবস্থায় কীভাবে এটি নিয়ে কাজ করা যায় তাও বলা হয়েছে।’

কামাল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিজ্ঞাপন এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দেওেয়া যাবে না। সাংবাদিকের কাজ সাংবাদিকতা করা।’

ডিএফপির মিডিয়া তালিকায় বিস্তর সমস্যার কথা তুলে ধরেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে ঢাকায় এক কোটি ৫১ লাখ পত্রিকা ছাপা হয়েছে সরকারি হিসাব মতে। কিন্তু বাস্তবে ১০ লাখের বেশি হবে না। তাহলে এই এক কোটি ৪১ লাখ পত্রিকার হিসাব কেন এলো। সরকারি বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য এসব কারসাজি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ডিএফপির তালিকায় ছয়শর বেশি পত্রিকা রয়েছে, অথচ ৫২টি পত্রিকা বিক্রি হয় ঢাকায়। দুটি প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্র সরবরাহের কাজ করে ঢাকায়। তাদের হিসাব দেখলেই অনায়াসে এই তথ্য পাওয়া যায়।’

টেলিভিশনের টিআরপির ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়মের চিত্র উল্লেখ করেন কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘টিআরপি কত তা দেখার জন্য আট হাজার ডিভাইস বসানোর কথা সারা দেশে। ২০০ ডিভাইস বসানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় আরও একশ বসানো হয়েছে। এগুলো বসাতে হবে এবং সবগুলো যাচাইযোগ্য হতে হবে। যাচাই শুধু সরকার বা ওই টেলিভিশন করতে পারবে না, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যাচাইয়েরও সুযোগ থাকতে হবে। আর সেই তৃতীয় পক্ষ হবে নাগরিক সমাজ।’

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়াসহ ১৮০ পাতার পুরোটা অনলাইনে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। যে কেউ চাইলে দেখতে পারবেন কী কী সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

কামাল আহমেদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের ওপর থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হলে পরিচালনা ব্যয় অনেক কমে আসবে। এতে করে মিডিয়া শিল্পে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, যা গণমাধ্যমগুলোর টিকে থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিবেদন জমার সময় দেওয়া হয় কমিশনকে। ১০ দিন হাতে রেখেই প্রতিবেদন জমা দিল কমিশন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

একই মালিকের একাধিক মিডিয়া থাকতে পারবে না: কামাল আহমেদ

আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে এক মালিকের একাধিক সংবাদমাধ্যম না রাখা এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি আইনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। পরে তিনি যমুনার সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘গণমাধ্যমের মালিকানায় সমস্যা রয়ে গেছে। অনেক সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু মালিকানায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা বলেছি ক্রস ওনারশিপ বাতিল করতে হবে। একই মালিকের একাধিক সংবাদমাধ্যম থাকতে পারবে না। একটিকে বেছে নিতে হবে মালিককে। সেক্ষেত্রে অন্যগুলোর মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে অথবা যেটি সবচেয়ে শক্তিশালী তার সঙ্গে একীভূত করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরাও যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন সেটিও বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের মালিকানা নিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এমন বিধান আছে।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের ইতিহাস পর্যালোচনা করে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করেছি। টেলিভিশন, সংবাদপত্র, রেডিও ও অনলাইনে বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে, তবে সাংবাদিকতার সমস্যা সব জায়গায় একই ধরনের।’

টেলিভিশনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদনের আবেদন দেখছি, কোথাও জনগণের কথা বলা হয়নি। সবাই সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে চেয়েছে, ইতিবাচক সংবাদ-কন্টেন্ট দেখাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সারা দুনিয়ার স্ট্যান্ডার্ড দেখেছি আমরা। সে অনুযায়ী সুপারিশগুলো করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের স্বায়ত্তশাসনের সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে কামাল আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান এই দুটি সংবাদ মাধ্যম চালাবে, এর জন্য একটি সম্প্রচার সংস্থা করার কথা বলেছি।’

কামাল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকতার পথে বাধা তৈরি করে এমন যেসব আইন ও সরকারি নীতিমালা রয়েছে সে সম্পর্কে সুপারিশ দিয়েছি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রেখেছি। এমনকি আমরা আইনটি কেমন হতে পারে তার জন্য একটি খসড়া অধ্যাদেশ যুক্ত করে দিয়েছি। উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারতে এমন আইন পার্লামেন্টে বিবেচনাধীন রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে এই আইন করেছে। সেখানে চাইলেও সাংবাদিকের ফোন তল্লাশি করতে পারে না সরকারি বেসরকারি কেউ।’

বিসিএস নবম গ্রেডের সমান বেতন-ভাতা সাংবাদিকতায় এন্ট্রিলেভেলে রাখতে বলা হয়েছে। সারা দেশে এটি কার্যকর করতে হবে। ঢাকায় যারা থাকেন তাদের জন্য আলাদা ভাতা থাকবে এখানে। প্রথমে এক বছরের শিক্ষানবিশকাল পার করেই তারপর স্থায়ী সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। আর ওয়েজবোর্ড নিয়ে মামলা চলমান, এই অবস্থায় কীভাবে এটি নিয়ে কাজ করা যায় তাও বলা হয়েছে।’

কামাল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিজ্ঞাপন এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দেওেয়া যাবে না। সাংবাদিকের কাজ সাংবাদিকতা করা।’

ডিএফপির মিডিয়া তালিকায় বিস্তর সমস্যার কথা তুলে ধরেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে ঢাকায় এক কোটি ৫১ লাখ পত্রিকা ছাপা হয়েছে সরকারি হিসাব মতে। কিন্তু বাস্তবে ১০ লাখের বেশি হবে না। তাহলে এই এক কোটি ৪১ লাখ পত্রিকার হিসাব কেন এলো। সরকারি বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য এসব কারসাজি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ডিএফপির তালিকায় ছয়শর বেশি পত্রিকা রয়েছে, অথচ ৫২টি পত্রিকা বিক্রি হয় ঢাকায়। দুটি প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্র সরবরাহের কাজ করে ঢাকায়। তাদের হিসাব দেখলেই অনায়াসে এই তথ্য পাওয়া যায়।’

টেলিভিশনের টিআরপির ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়মের চিত্র উল্লেখ করেন কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘টিআরপি কত তা দেখার জন্য আট হাজার ডিভাইস বসানোর কথা সারা দেশে। ২০০ ডিভাইস বসানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় আরও একশ বসানো হয়েছে। এগুলো বসাতে হবে এবং সবগুলো যাচাইযোগ্য হতে হবে। যাচাই শুধু সরকার বা ওই টেলিভিশন করতে পারবে না, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যাচাইয়েরও সুযোগ থাকতে হবে। আর সেই তৃতীয় পক্ষ হবে নাগরিক সমাজ।’

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়াসহ ১৮০ পাতার পুরোটা অনলাইনে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। যে কেউ চাইলে দেখতে পারবেন কী কী সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

কামাল আহমেদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের ওপর থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হলে পরিচালনা ব্যয় অনেক কমে আসবে। এতে করে মিডিয়া শিল্পে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, যা গণমাধ্যমগুলোর টিকে থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিবেদন জমার সময় দেওয়া হয় কমিশনকে। ১০ দিন হাতে রেখেই প্রতিবেদন জমা দিল কমিশন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।