জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায় বেইজিংয়ের উদ্যোগ

- আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করতে এবং দম্পতিদের আর্থিক চাপ কমাতে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে চীন। শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির সরকার এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়, যা জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায় বেইজিংয়ের সর্বশেষ উদ্যোগ।
চীনে আগে দম্পতিদের বিয়ে নিবন্ধনের জন্য তাদের জন্মস্থান বা নিবন্ধিত ঠিকানায় যেতে হতো। এতে ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হতো। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো শহরে বসবাসরত দম্পতি তাদের বর্তমান ঠিকানায় বিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি ও রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই পরিবর্তন বিশেষত তরুণদের জন্য সহায়ক হবে, যারা সাধারণত জন্মস্থানের বাইরে চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বসবাস করেন।
চীনে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় বিবাহ ও সন্তান ধারণের হার কমিয়ে দিয়েছে।
– ২০২৩ সালে বিয়ের সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ কমেছে
– টানা তৃতীয় বছর দেশটির জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে
এই প্রবণতা মোকাবিলায় সরকার ইতিমধ্যে নগদ প্রণোদনা, শিশুর যত্নসুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিয়ে নিবন্ধনের পাশাপাশি, যৌতুক ও বিয়ের অপচয় কমাতে প্রচারণা চালাবে নাগরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
– চীনে যৌতুক সামাজিক সম্মানের প্রতীক হলেও অনেক সময় এটি বরপক্ষের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে।
– এটি সামাজিক বৈষম্য বাড়ায় এবং তরুণদের বিয়ে থেকে দূরে রাখে।
চীনে তরুণদের বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:
১. অ্যাপার্টমেন্ট কেনার খরচ – বিয়ের আগে অনেক পরিবারই ফ্ল্যাট কেনার চেষ্টা করে, যা ব্যয়বহুল।
২. শিক্ষার খরচ – ডে কেয়ার, প্রাইভেট টিউশনসহ শিক্ষার উচ্চ ব্যয় শিশু লালন-পালনের ইচ্ছা কমিয়ে দিচ্ছে।
চীন সরকার জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায় আরও নীতি প্রণয়ন করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
– বিয়ে ও সন্তান নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা
– শিশু যত্ন সুবিধা বৃদ্ধি
– বৈবাহিক আইন সহজতর করা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই নীতি তরুণদের বিয়েতে আগ্রহী করতে সহায়ক হবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে জন্মহার বৃদ্ধিতে এটি কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।