ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক বিবেচনাধীন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ১২:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করতে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। যদিও গত ২১ মার্চ ভারতীয় মিডিয়া দ্য হিন্দুস্তান টাইমস দেশটির সরকারের তিনটি সূত্রের বরাতে জানায়, তাদের বৈঠকটি হচ্ছে না।
যদিও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করেননি। গতকাল শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শক কমিটির কাছে জয়শঙ্কর জানান, এ বৈঠকটি বিবেচনাধীন রয়েছে।
সংসদীয় কমিটিকে জয়শঙ্কর বলেন, আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল বিমসটেক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাকে পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জিজ্ঞেস করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন কি না। উত্তরে স্পষ্ট কোনো কিছু না জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন ‘এটি বিবেচনাধীন আছে’।
জয়শঙ্কর সদস্যদের বলেন যে ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দাবি করেছে যে হিন্দুদের উপর আক্রমণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে করা হয়নি। তিনি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়েও আপডেট দেন, পাকিস্তান ও চিনের বিষয়ে আলোচনা পরবর্তী বৈঠকের জন্য স্থগিত রাখেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের মনোভাবের কারণে সার্ক নিষ্ক্রিয়, তাই ভারত বিমসটেককে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন, যদিও তিনি তা নিশ্চিত করেননি। এছাড়াও, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফর সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে এর আগে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, এই পরামর্শক কমিটির সদস্যদের কাছে জয়শঙ্কর সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে জানান, তারা হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু তারা এতে হস্তক্ষেপ করতে পারেননি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হাসিনার ওপর ‘প্রয়োজনীয় প্রভাব’ খাটানোর প্রভাব তাদের ছিল না। তারা স্বৈরাচার হাসিনাকে শুধুমাত্র ‘পরামর্শ’ দিতে পারতেন। সূত্র: ডেকেন হেরাল্ড, রিপাবলিক