মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এলো জাহাজভর্তি মাটি মিশ্রিত কয়লা

- আপডেট সময় : ১২:২১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত কয়লার চালানে ব্যাপক পরিমাণে মাটি পাওয়া গেছে। যে কারণে খালাস কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে জাহাজটিকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী- ইন্দোনেশিয়া থেকে উচ্চমানের কয়লা সরবরাহের কথা থাকলেও ভারতীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাটি মিশ্রিত নিম্নমানের কয়লা পাঠায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হলে। বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার (২৩ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক বলেন, আমরা চালানটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি এবং শুক্রবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়েছি।
সূত্র জানায়, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দামের ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ১৭ মার্চ এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড নামে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি জাহাজ মাতারবাড়ী চ্যানেলে প্রবেশ করে।
কয়লা খালাস শুরু করার পর দেখা যায়, এতে কয়লার চেয়ে মাটির পরিমাণ বেশি। ফলে কয়লা খালাসকালে বারবার আনলোডিং কনভেয়ার বেল্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। নানাভাবে শুক্রবার পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৫০ টন কয়লা আনলোড করা হয়।
এক পর্যায়ে খালাস বন্ধ করে দিয়ে ৪০ হাজার ৬৫০ টন কয়লাসহ জাহাজটিকে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়। বর্তমানে জাহাজটি বহির্নোঙরে নোঙর করে রাখা রয়েছে।
মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (শিপিং অপারেশন) উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আমরা আলোচনা করছি এবং বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কয়লা আনলোড করার সময় ব্যবহৃত কনভেয়র বেল্ট বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, কারণ চালানে অতিরিক্ত মাটি ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আনলোডিংয়ের সময় আমরা কয়লার চেয়ে বেশি মাটি পেয়েছি। ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন আবু সুফিয়ান নিশ্চিত করেন যে, শিপিং কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী জাহাজটিকে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। মাটি বেশি থাকায় কয়লা আনলোড করার সময় বারবার বেল্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। পরে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে জাহাজটিকে বন্দর চ্যানেলের বাইরে পাঠানো হয়।