চিকিৎসাধীন হামাস নেতাকে মারল ইসরায়েল

- আপডেট সময় : ০২:০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে চিকিৎসাধীন হামাস নেতা ইসমাইল বারহুমকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার এ হামলা চালানো হয়। একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হামাসের আর্থিক বিষয়ক প্রধান বারহুমকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামাসের এই নেতা হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহত হন তিনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে সফলভাবে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল বারহুমকে নাসের হাসপাতালে হত্যা করা হয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রোববারের সন্ধ্যার হামলায় হাসপাতালের কর্মীসহ অনেকে আহত হয়েছে। একই দিন সকালে রাফা ও খান ইউনিসে হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
বারহুমকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি হামলার দৃশ্য কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এবং বিবিসি অ্যারাবির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আলজাজিরার সাংবাদিক নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই মিসাইল সদৃশ কিছু একটি এসে হাসপাতালটিতে আঘাত হানে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায় এবং আটজন আহত হন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও হামলায় হাসপাতালটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি গাজার একটি ক্যানসার হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, গাজার হাসপাতালগুলোতে লুকিয়ে থাকছে হামাস সদস্যরা। তবে ফিলিস্তিনের সংগঠনটি এ দাবি অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলে। ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ।