ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছাপানো শেষ হলেও ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাপানো শেষ কিন্তু ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি। এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) উদ্যোগে আমদানি করা দেড় হাজার টন কাগজ অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এই কাগজ কিনে রাখতে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছে এনসিটিবি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী বছর কাগজের মান পরিবর্তন হলে গুণতে হবে লোকসান।

স্বাভাবিক সময়ে বই ছাপাতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। সে জন্য আগস্ট থেকে শুরু হয় ছাপানোর কাজ। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর ৪০ কোটি বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বরে। এ কারণে জানুয়ারিতে কাগজ সংকট দেখা যায়।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতিতে আট হাজার টন কাগজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথম ধাপে কাগজ আসে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। আর দেড় হাজার টন আসে মার্চে। অথচ এর মধ্যে বই ছাপানো প্রায় শেষ। তবে ছাপানো শেষ হলেও ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি।

কিন্তু আমদানি করা কাগজে শুধু বিনামূল্যের বই ছাপানো যাবে। ফলে এই কাগজ বাইরে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এদিকে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের বই ছাপানোও শেষ। এতে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকও।

মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফয়েল খান জানান, আগামী বছরের জন্য কাগজ কিনতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানাচ্ছে এনসিটিবি। কিন্তু সে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, সব বই ছাপানো হলেও ৪০ লাখ এখনও সরবরাহ হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাপানো শেষ হলেও ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি

আপডেট সময় : ০১:১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

ছাপানো শেষ কিন্তু ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি। এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) উদ্যোগে আমদানি করা দেড় হাজার টন কাগজ অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এই কাগজ কিনে রাখতে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছে এনসিটিবি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী বছর কাগজের মান পরিবর্তন হলে গুণতে হবে লোকসান।

স্বাভাবিক সময়ে বই ছাপাতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। সে জন্য আগস্ট থেকে শুরু হয় ছাপানোর কাজ। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর ৪০ কোটি বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বরে। এ কারণে জানুয়ারিতে কাগজ সংকট দেখা যায়।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতিতে আট হাজার টন কাগজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথম ধাপে কাগজ আসে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। আর দেড় হাজার টন আসে মার্চে। অথচ এর মধ্যে বই ছাপানো প্রায় শেষ। তবে ছাপানো শেষ হলেও ৪০ লাখ পাঠ্যবই এখনও সরবরাহ হয়নি।

কিন্তু আমদানি করা কাগজে শুধু বিনামূল্যের বই ছাপানো যাবে। ফলে এই কাগজ বাইরে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এদিকে মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের বই ছাপানোও শেষ। এতে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকও।

মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফয়েল খান জানান, আগামী বছরের জন্য কাগজ কিনতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানাচ্ছে এনসিটিবি। কিন্তু সে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, সব বই ছাপানো হলেও ৪০ লাখ এখনও সরবরাহ হয়নি।