শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতি

- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি এ দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। শপথের পর থেকে তা কার্যকর হবে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৮৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এ কে এম আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। আসাদুজ্জামান ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট এ কে এম আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক। তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত নারী বিচারকদের মধ্যে চতুর্থ। ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতের একজন আইনজীবী হিসেবে নাম নথিভুক্ত হন। জেলা আদালতে তার সাফল্যের পর তিনি ১৯৯৪ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নথিভুক্ত হন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট একই বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০৩৩ সালের ২৬ মে তার অবসর গ্রহণের কথা রয়েছে।