মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবারের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠাচ্ছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। এতে ঘুরছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। মার্চের প্রথম ২২ দিনে দেশে এসেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার। ঈদের আগেই যা তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন উৎসব পার্বণে পরিবারের আনন্দ নিশ্চিতের ভার থাকে প্রবাসীদের কাঁধে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। মার্চের প্রথম ২২ দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৪৪ কোটি ডলার। ঈদের আগ মুহূর্তে এই সংখ্যা ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবার হাতছানি দিচ্ছে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রেমিট্যান্স হাউজে লক্ষ্য করা গেছে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড়। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে আনন্দের সঙ্গেই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তারা। আর নিজের জন্য রাখছেন সামান্য অর্থ। স্বজনদের আনন্দেই তৃপ্তি খুঁজে নিচ্ছেন প্রবাসীরা ।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঈদে আমাদের তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। পরিবারের সবাই ভালোভাবে ঈদ করবে সেটাতেই আমাদের আনন্দ।’
আরেকজন বলেন, ‘পরিবারকে ভালো রাখার জন্য আমরা সবকিছু করছি, বেতন পেলে আমাদের সাধ্যমতো আমরা পরিবারের কাছে তা পাঠিয়ে দেই।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতবারের তুলনায় হাউজ ভেদে এবার রেমিট্যান্স বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। ব্যাংক ব্যবস্থায় আস্থা ফেরা ও হুন্ডির সঙ্গে বৈধ বিনিময় হার প্রায় সমান থাকায় বৈধ পথে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরেই রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ তিনে চলে আসবে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়া অগ্রণী রেমিট্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো একসময় সাতে ছিলাম, এখন মালেশিয়া থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণে আমরা চারে এসেছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই বছর শেষের আগেই আমরা তিনে চলে আসবো।’
দেশ কিংবা পরিবারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে যেভাবে এগিয়ে আসেন প্রবাসীরা, ঠিক তেমনি প্রবাসীদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা।