ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাশ আর নেই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পরপারে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাশ। বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সিলেট নগরীর হাওলাদার পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যান তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বাসাতেই রাখা হয় তাঁকে।

বর্ণাট্য জীবনের অধিকারী সুষমা দাশ একসাথে গান করেছেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, বাউল দুর্বিন শাহ, বাউল আলী হোসেন সরকার, বাউল কামাল পাশাসহ বাংলাদেশের প্রমুখ প্রবীণ শিল্পীদের সাথে।

লোকসংগীতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সুষমা দাশ। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন লোকসংগীতের এই সাধক।

সুষমা দাস ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার শাল্লা থানার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহিয়সীর পিতা ছিলেন প্রখ্যাত লোককবি রশিকলাল দাশ এবং মাতা লোককবি দিব্যময়ী দাশ।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সুষমা দাশ ছিলেন সবার বড়ো। তাঁর ছোটো ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত রামকানাই দাস ছিলেন উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্ষণজন্মা এক মহাপুরুষ। এছাড়াও পরিবারের অনেক সদস্যই সঙ্গীতের সাথে জীবনযাপন করছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গেনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাশ আর নেই

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

পরপারে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাশ। বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সিলেট নগরীর হাওলাদার পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যান তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বাসাতেই রাখা হয় তাঁকে।

বর্ণাট্য জীবনের অধিকারী সুষমা দাশ একসাথে গান করেছেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, বাউল দুর্বিন শাহ, বাউল আলী হোসেন সরকার, বাউল কামাল পাশাসহ বাংলাদেশের প্রমুখ প্রবীণ শিল্পীদের সাথে।

লোকসংগীতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সুষমা দাশ। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন লোকসংগীতের এই সাধক।

সুষমা দাস ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার শাল্লা থানার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহিয়সীর পিতা ছিলেন প্রখ্যাত লোককবি রশিকলাল দাশ এবং মাতা লোককবি দিব্যময়ী দাশ।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সুষমা দাশ ছিলেন সবার বড়ো। তাঁর ছোটো ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত রামকানাই দাস ছিলেন উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্ষণজন্মা এক মহাপুরুষ। এছাড়াও পরিবারের অনেক সদস্যই সঙ্গীতের সাথে জীবনযাপন করছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গেনে।