চাঁদাবাজি টোকেন বাণিজ্য দেখলেই প্রতিহত করবেন: আসিফ মাহমুদ

- আপডেট সময় : ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

যেখানেই চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্য চলবে তা প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত–সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি সেখানেও পূর্বের মতো বিভিন্ন উপায়ে চাঁদাবাজি–সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো চলমান। ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে এসেছি অনেকে মনে করে চাঁদা দেওয়াটাও বোধহয় আমার দায়িত্ব। যে কেউ একটা টোকেন ধরিয়ে দিল, আমাকে ৫০ টাকা ১০০ টাকা দিতে হবে। আবার যারা চাঁদা নেয় তারা মনে করে এটা তার অধিকার। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবেই চলে আসছে এখন কেন চলবে না। ওইসব চাঁদাবাজদের কে স্পষ্ট করে একটা বার্তা দিতে চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পূর্ববর্তী কোনো চর্চা আর বরদাস্ত করা হবে না।’
এলজিআরডি ও যুব ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার চায় গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা জীবন দিয়েছে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য। সে বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী সময়ের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ যেই বিষয়গুলো তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে সেগুলোকে খুব শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা সারাদেশের তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাতে চাই– আপনারা যেখানেই চাঁদাবাজি দেখবেন, বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেনের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিবাদ করবেন। এসব রুখে দেবেন।’
মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩টি ইভেন্টে কয়েকশত প্রতিযোগী অংশ নেয়। হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩টি ইভেন্টের ১৬ জন প্রতিযোগিকে চূড়ান্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে ৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, সমন্বয়ক উবায়দুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা।