রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশিয়ার নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের সামাজিক ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সামাজিক ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’ বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এশিয়ার নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জে জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
গাজায় যা হচ্ছে তা শুধু মুসলিম বা আরব বিশ্বের নয়, এটি মানবতার বিষয় বলেও মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।
এদিকে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করবেন দেশটির খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু দোংইউ। এ ছাড়া জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন ও রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীও সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টার সাথে।
এরআগে অধ্যাপক ইউনূস বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টাসহ তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে হাইনানের কিয়োংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ২৯ মার্চ অধ্যাপক ইউনূস পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিকেইউ) বক্তৃতা দেবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে।
সফরে প্রধান উপদেষ্টা চীনের হাসপাতাল চেইনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। যাতে তারা যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং হাসপাতাল স্থাপনের জন্য উৎসাহিত হয়।
আগামী ২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।