দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন

- আপডেট সময় : ১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবলে আক্রমণভাগের সক্ষমতা নিয়ে। শিলংয়ে বেশ কয়েকটি গোল করার সুযোগ ব্যর্থতার রূপ দেয়ায় সাবেক ফুটবলাররা বলছেন ঘরোয়া ফুটবলে ফরওয়ার্ড লাইনে বিদেশিদের আধিপত্যের অন্যতম কারণ। তাছাড়া দেশের ফুটবলারদের মাঝে গোল করার অভ্যাসও গড়ে তোলার তাগিদ দেন তারা। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে লিগ না হওয়ায় আসছে না পর্যাপ্ত ফুটবলারও।
শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে নাম্বার নাইন পজিশন নিয়ে। স্পষ্টভাবেই দৃশ্যমান হয়েছে দলে ফরওয়ার্ড লাইনে নেই গোল করার সক্ষমতা।
ফুটবল দলের এমন হাল অনেকদিনের। তবে সমাধানের পথ যেন খুঁজে পায় না ফেডারেশন। বিতর্ক আছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কেনো খেলানো হয়নি গোলবারের ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফর্ম করা স্ট্রাইকার আল আমিনকে।
এরকম নানা বিতর্কের মাঝে স্ট্রাইকার নিয়ে সমস্যা সমাধানে জাতীয় দলের সাবেক ফরওয়ার্ড বলেন, ঘরোয়া ফুটবলে ক্লাবগুলোকে ফরওয়ার্ড লাইনে আস্থা রাখতে হবে লোকাল খেলোয়াড়দের ওপর। তাছাড়া, ফুটবলারদেরও স্কিল উন্নতিতে বাড়তি কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
এমিলি বলেন, ‘স্ট্রাইকার যখন আপনার হাতে না থাকবে তখন আপনাকে এভাবেই খেলতে হবে। ম্যাচ শেষে ফলাফলও এরকমই আসবে। কারণ একজন স্ট্রাইকার ছাড়া আপনি ম্যাচ জিততে পারবেন না। ক্লাব পর্যায়েও এরকম সুযোগ দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে যে, লোকাল স্ট্রাইকারদের একটু সুযোগ দিয়ে দেখি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি যে এখানে ক্লাবগুলোরও দায়ভার আছে।’
বাংলাদেশ ফুটবলে গোল দেয়ার অদক্ষতার রীতি অনেক পুরোনো। এই সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক বলছেন, একদিকে যেমন ক্লাবগুলোর বিদেশি স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভরশীলতা আছে, তেমনি তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলের নিয়মিত চর্চা নেই। তাই জাতীয় দলের নাম্বার নাইন পজিশনের খেলোয়াড় উঠে আসছে না।
সুদীপ্ত আনন্দ বলেন, ‘এবছর তো আমাদের লোকালরা একটু হলেও সুযোগ পেয়েছে, তো এইবছরও কেন প্রমাণ করতে পারবো না আমরা? গোলের এই গোলকধাঁধা বহুবছর যাবৎ। জেলায় যদি নিয়মিত লীগ না হয়, আপনি খেলোয়াড় পাবেন কীভাবে? ফুটবলকে শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক করলে চলবে না, ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায়।’
এদিকে দলে প্রবাসী ফুটবলার যুক্ত করে ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকেও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। এতেও যদি স্ট্রাইকার সমস্যার সমাধান হয় তাতেও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ফুটবল, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।