ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের কুলগ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভি আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর, পাহেলগামে গতকাল ২৬ পর্যটককে হত্যার পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় কুলগ্রামে সেনা ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এ সময় দুই বিদ্রোহী ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় সেনাদের গুলিতে নিহত হয়। এরপর সেখানে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত লড়াই চলছিল বলে জানায় এনডিটিভি।
এ দিকে ভারতীয় অপর সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস নিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, গতকালের হামলায় অন্তত সাতজন জড়িত ছিলেন। যার মধ্যে চার থেকে পাঁচজন পাকিস্তানের। যারা উর্দুতে কথা বলছিলেন বলে দাবি করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে একটি সূত্র বলছে, যে উর্দুতে তারা কথা বলেছেন সেটি পাকিস্তানের নির্দিষ্ট এলাকায় বলা হয়। অন্তত দুজন স্থানীয় (কাশ্মীরের) বিদ্রোহী তাদের সহায়তা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা কাশ্মীরের কোন অংশের লোক সেটি আমরা এখনো জানতে পারিনি।
এর আগে দ্য রেসিসটেন্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে একটি অখ্যাত সশস্ত্র গোষ্ঠী ভয়াবহ এ হামলার দায় শিকার করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেয়। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির উত্থান হয় ২০১৯ সালে।
যদিও কাশ্মীরে হামলার একদিন পর জানানো প্রতিক্রিয়ায় ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান বলেছে, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সংযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ভারতের কথিত রাজ্যগুলোতে— নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্রিশগড়ে, মণিপুরে এবং দক্ষিণে বিদ্রোহ চলছে। এগুলো বিদেশি কোনো দেশের হস্তক্ষেপ নয়, স্থানীয় বিদ্রোহ।
ভারত অভিযোগ করে থাকে তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অংশে যেসব হামলা হয় সেগুলোতে পাকিস্তানের মদদ থাকে। তবে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গতকাল যে হামলা হয়েছে সেটি সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের অত্যাচারের ফল।
তিনি আরও বলেন, এই বিদ্রোহীরা তাদের অধিকার চাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, মুসলিমদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আর মানুষ এর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া