ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা আপিল বিভাগে বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ২০২৩ সালের ৩০ মে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। অভিযোগ গঠনের বৈধতা ও মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজন।

আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়। পরে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১আগস্ট দুদক বিচারিক আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। আসামিপক্ষকে কোনো নোটিশ না দিয়ে দুদকের মামলার প্রত্যাহার আইনসম্মত কি না, এ বিষয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। আইনি জটিলতা নিরসনের জন্যই মূলত এই আবেদন করা হয়।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আসামি পক্ষের আপিল মঞ্জুর করে মামলাটি বাতিল করে দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য দুদককে ব্যবহার করেছে। ফৌজদারি মামলা হিসেবে এটি টিকে না বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

আইনীভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সঠিক নয়। সত্যের বিজয় হয়েছে। আর গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দীর্ঘদিনের হয়রানির অবসান ঘটেছে।

এ পর্যন্ত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে থাকা শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর মাত্র একটি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা আপিল বিভাগে বাতিল

আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ২০২৩ সালের ৩০ মে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। অভিযোগ গঠনের বৈধতা ও মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজন।

আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়। পরে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১আগস্ট দুদক বিচারিক আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। আসামিপক্ষকে কোনো নোটিশ না দিয়ে দুদকের মামলার প্রত্যাহার আইনসম্মত কি না, এ বিষয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। আইনি জটিলতা নিরসনের জন্যই মূলত এই আবেদন করা হয়।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আসামি পক্ষের আপিল মঞ্জুর করে মামলাটি বাতিল করে দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য দুদককে ব্যবহার করেছে। ফৌজদারি মামলা হিসেবে এটি টিকে না বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

আইনীভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সঠিক নয়। সত্যের বিজয় হয়েছে। আর গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দীর্ঘদিনের হয়রানির অবসান ঘটেছে।

এ পর্যন্ত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে থাকা শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর মাত্র একটি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।