ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের থামাতে গিয়ে শহীদ হলেন আদিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো হামলায় শুধু হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন আদিল হোসেন নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। কারণ বন্দুক হামলায় পর্যটকসহ যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন সে তালিকায় রয়েছেন তিনিও। শুধু তাই নয়, হামলার সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে পর্যটকদের বাঁচাতে চেয়েছিলেন আদিল।

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! মৃত্যুর আগে টাট্টু ঘোড়ার চালক সৈয়দ আদিল হুসেন শাহকে কেউই চিনতেন না। কিন্তু সবার কাছে আজ তিনি পরিচিত একজন বীর ও নায়ক হিসেবে।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পর্যটকসহ যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদেরই একজন ছিলেন সৈয়দ আদিল হুসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য বলছে, হামলার সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, রক্ষা করতে চেয়েছিলেন পাশে থাকা পর্যটকদেরও। কিন্তু হামলাকারীরা গুলি চালিয়ে তার শরীর ঝাঁঝরা করে দেয়।

আদিল পেহেলগামের এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে যে আয় হতো তা দিয়েই চলতো পরিবার। অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আদিলকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী, একমাত্র সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবা। তাদের বুক ফাটা আর্তনাদের ভারি হয়ে উঠেছে পেহেলগামের পরিবেশ। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তারা।

এদিকে ঘটনার পর বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, হামলায় শুধু হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছে। তবে নিজের জীবনের বিনিময়ে সেই দাবিকে ভুল প্রমাণ করেছেন আদিল হুসেন। বুধবার এই সাহসী যুবকের জানাজায় অংশ নেন শত শত মানুষ। উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও।

পাকিস্তান ভিত্তিক নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-টিআরএফ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এও দাবি করছে যে, যাদের টার্গেট করা হয়েছে তারা নাকি সাধারণ কোনো পর্যটক ছিলেন না। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা ছিল। পর্যটকের ছদ্মবেশে অনুসন্ধান চালানোর জন্য এসেছিল পেহেলগামে। যদিও টিআরএফের দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারত সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের থামাতে গিয়ে শহীদ হলেন আদিল

আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো হামলায় শুধু হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন আদিল হোসেন নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। কারণ বন্দুক হামলায় পর্যটকসহ যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন সে তালিকায় রয়েছেন তিনিও। শুধু তাই নয়, হামলার সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে পর্যটকদের বাঁচাতে চেয়েছিলেন আদিল।

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! মৃত্যুর আগে টাট্টু ঘোড়ার চালক সৈয়দ আদিল হুসেন শাহকে কেউই চিনতেন না। কিন্তু সবার কাছে আজ তিনি পরিচিত একজন বীর ও নায়ক হিসেবে।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পর্যটকসহ যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদেরই একজন ছিলেন সৈয়দ আদিল হুসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য বলছে, হামলার সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, রক্ষা করতে চেয়েছিলেন পাশে থাকা পর্যটকদেরও। কিন্তু হামলাকারীরা গুলি চালিয়ে তার শরীর ঝাঁঝরা করে দেয়।

আদিল পেহেলগামের এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে যে আয় হতো তা দিয়েই চলতো পরিবার। অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আদিলকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী, একমাত্র সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবা। তাদের বুক ফাটা আর্তনাদের ভারি হয়ে উঠেছে পেহেলগামের পরিবেশ। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তারা।

এদিকে ঘটনার পর বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, হামলায় শুধু হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছে। তবে নিজের জীবনের বিনিময়ে সেই দাবিকে ভুল প্রমাণ করেছেন আদিল হুসেন। বুধবার এই সাহসী যুবকের জানাজায় অংশ নেন শত শত মানুষ। উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও।

পাকিস্তান ভিত্তিক নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-টিআরএফ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এও দাবি করছে যে, যাদের টার্গেট করা হয়েছে তারা নাকি সাধারণ কোনো পর্যটক ছিলেন না। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা ছিল। পর্যটকের ছদ্মবেশে অনুসন্ধান চালানোর জন্য এসেছিল পেহেলগামে। যদিও টিআরএফের দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারত সরকার।