গত এক বছরে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড ছাড়িয়ে গেছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। এ সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট। আগামীতে উৎপাদন আরও ১৩০ মিলিয়ন বাড়িয়ে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ২৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের আশা কর্তৃপক্ষের। এই লক্ষ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি অনুসন্ধান কূপ ও ওয়ার্কওভারের কাজ চলমান।
সিলেটের হরিপুর দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি চাহিদা পূরণে নিত্যনতুন সংযোজন ঘটাচ্ছে গ্যাসক্ষেত্রটির পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। সবশেষ গ্যাসক্ষেত্রটির ১০ নম্বর কূপে তেল আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু একই কূপে গ্যাসেরও সন্ধান পাওয়ায় তেলের জন্য নতুন কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিলেট টেন এক্স নামে কূপটির উন্নয়ন কাজ এরইমধ্যেই শুরু হয়েছে। আর ১০ নম্বর কূপ থেকে ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
এসজিএফএলের এমডি প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, 'সিলেট টেনের পাশাপাশি টেনএক্স একটা কূপ ওখানে হবে। ওখানে যে টার্গেট ছিল আমাদের তিন হাজার ৩০০ মিটার। অনেক কারণে আমরা সে জায়গাটাতে যেতে পারিনি। কিন্তু এটাতে আমাদের সে যাওয়ার টার্গেট রয়েছে।'
সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসের সরবরাহ সংকট কাটাতে অনুসন্ধান কূপ ডুপিটিলা-১, কৈলাশটিলা-৯ এর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি নতুন কূপ রশিদপুর ১১, ১৩ এবং সিলেট ১১ কূপের উন্নয়ন কাজও চলছে সমান তালে।
এসজিএফএলের এমডি প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, 'ডুপিটিলা-১ এবং কৈলাশটিলা-৯ এটা কিন্তু কটা খনন প্রজেক্ট চলমান আছে। এটারও ডিবিবি পাশ হয়েছে।'
এই সাতটি অনুসন্ধান কূপের কাজ শেষ হলে দৈনিক ৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এসজিএফএলের এমডি প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, 'টেন ২০ মিলিয়ন, টেনএক্স ২০ মিলিয়ন, এরকম টার্গেট আছে। সিলেট-১১ এর টার্গেট আছে ১০ মিলিয়ন, ডুপিটিলা-১ এবং কৈলাশটিলা-৯ এটাও ১০-১০ করে ২০ মিলিয়নের টার্গেট আছে। তারপর রশিদপুর ১১, ১৩ তেও ১০-১০ করে ২০ মিলিয়নের টার্গেট আছে।'
এছাড়াও কৈলাশটিলা-১, বিয়ানীবাজার-২, রশিদপুর-৩ ও ৭ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আগামী বছরের মধ্যেই আরও ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংযোজন হবে জাতীয় গ্রিডে।
পাঁচ বছর আগে তুলনায় সিলেট গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে ৩.২ গুণ। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৫টি কূপের মাধ্যমে বার্ষিক ৩৭ হাজার ৯১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে। একই সাথে যোগান দিচ্ছে ৩৮ হাজার ৬৭২ ব্যারেল কনডেনসেট ও এনজিএল।