ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শহীদি সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সমাবেশে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা এসব দাবি তুলে ধরেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরবর্তী সময়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো এক আহত ব্যক্তি বলেন, আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা হয়ে বলতে চাই, এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তাদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের এ দেশে জায়গা হবে না। যারা দিল্লি বা পাকিস্তানের প্রেস্ক্রিপশনে দেশ চালাতে চায় তারা যেন ভারত বা পাকিস্তানে চলে যায়। আমরা বাংলাদেশপন্থীরা নতুন দেশ গঠন করবো।

এসময় তিনি আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন, আমাদের জুলাই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। কেউ কেউ আজ টাকার পাহাড় গড়েছে, অথচ আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কেউ আমাদের আশা বিক্রি করতে পারবে না।

তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। পাশাপাশি গণভোটের মাধ্যমে দলটিকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। শাপলা চত্বর ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।

ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। তাদের পুনর্বাসনের আগে আমাদের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে এটা ২৪ পরবর্তী দেশে প্রত্যাশা করতে পারিনি।

সমাবেশে শহীদ সাইমের মা বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, যে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো? আমি শহীদের মা হয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন- পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, শহীদ সজলের মা, শহীদ সাইমের পরিবারসহ জুলাই ঘটনার আহত ও শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

আপডেট সময় : ০৫:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শহীদি সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সমাবেশে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা এসব দাবি তুলে ধরেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরবর্তী সময়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো এক আহত ব্যক্তি বলেন, আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা হয়ে বলতে চাই, এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তাদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের এ দেশে জায়গা হবে না। যারা দিল্লি বা পাকিস্তানের প্রেস্ক্রিপশনে দেশ চালাতে চায় তারা যেন ভারত বা পাকিস্তানে চলে যায়। আমরা বাংলাদেশপন্থীরা নতুন দেশ গঠন করবো।

এসময় তিনি আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন, আমাদের জুলাই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। কেউ কেউ আজ টাকার পাহাড় গড়েছে, অথচ আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কেউ আমাদের আশা বিক্রি করতে পারবে না।

তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। পাশাপাশি গণভোটের মাধ্যমে দলটিকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। শাপলা চত্বর ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।

ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। তাদের পুনর্বাসনের আগে আমাদের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে এটা ২৪ পরবর্তী দেশে প্রত্যাশা করতে পারিনি।

সমাবেশে শহীদ সাইমের মা বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, যে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো? আমি শহীদের মা হয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন- পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, শহীদ সজলের মা, শহীদ সাইমের পরিবারসহ জুলাই ঘটনার আহত ও শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য।