ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৬ বছর পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক যেকোনো সময়ের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। শঙ্কা রয়েছে ২৬ বছর পর একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর। এমন পরিস্থিতিতে চিরশত্রু এই দেশ দুটির সামরিক সক্ষমতা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যেখানে দেখা যাচ্ছে জলে ও আকাশে নয়াদিল্লির আধিপত্য থাকলেও স্থলভাগে এগিয়ে ইসলামাবাদের সেনারা।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। গুঞ্জন রয়েছে ২০১৯ সালের মতো সীমানা পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে নয়াদিল্লির সেনারা। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা রয়েছে ২৬ বছর পর আবারো যুদ্ধে জড়াতে পারে দুই দেশ।

যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেস্কের তথ্য বলছে, শক্তিমত্তার দিক থেকে ভারত চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ তম। তবে যুদ্ধ শুরু হলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ এতটা সহজ হবে না। কারণ বেশ কিছু জায়গায় ভারত এগিয়ে থাকলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান ধরে রেখেছে নিজেদের আধিপত্য।

ভারতের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের সংখ্যা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিপরীতে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। রিজার্ভ সেনার দিক থেকেও পার্থক্য দ্বিগুণের বেশি। সামরিক খাতে নয়াদিল্লির বাজেট সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলার। উল্টোদিকে এ খাতে ইসলামাবাদের বার্ষিক বাজেট মাত্র সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি।

আকাশ ও জলে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। নয়াদিল্লির এয়ারক্রাফ্টের সংখ্যা ২ হাজার ২২৯টি। যার মধ্যে ৫০০টির বেশি ফাইটার জেট। বিপরীতে ইসলামাবাদের মোট এয়ারক্রাফট প্রায় ১ হাজার ৪০০টি। যার মধ্যে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৩২৮। তবে প্রয়োজন অনুসারে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্বিগুণ ট্রেনার এয়ারক্রাফট মোতায়েনের সক্ষমতা রয়েছে পাকিস্তানের।

অন্যদিকে ভারতের ভাণ্ডারে ২টি বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি রয়েছে ২৯৩টি ফ্লিট ও ১৮টি সাবমেরিন। যার মধ্যে ১০টি ডুবোজাহাজই ৩০ বছর পুরোনো। অন্যদিকে পাক নৌবাহিনীর কাছে ১২১টি ফ্লিটের মধ্যে কোনো রণতরী না থাকলেও রয়েছে ৮টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। পাশাপাশি চীনে ৩টি ডুবোজাহাজ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও শেহবাজ শরীফ সরকারের হাতে ৩টি মিনি ওয়ারফেয়ার থাকলেও এখনো এর খাতা খুলতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি।

স্থলভাগের ক্ষেত্রে ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়ালেও পাকিস্তান ছুঁতে পারেনি ৩ হাজারের ঘর। আর্মাড ভেহিকেলও সাড়ে ৮ গুণ বেশি। যদিও সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টরের দিক থেকে পাকিস্তানের ধারে কাছেও নেই ভারত।

এছাড়াও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান, এমনটাই জানাচ্ছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৬ বছর পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা

আপডেট সময় : ০৫:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সাম্প্রতিক যেকোনো সময়ের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। শঙ্কা রয়েছে ২৬ বছর পর একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর। এমন পরিস্থিতিতে চিরশত্রু এই দেশ দুটির সামরিক সক্ষমতা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যেখানে দেখা যাচ্ছে জলে ও আকাশে নয়াদিল্লির আধিপত্য থাকলেও স্থলভাগে এগিয়ে ইসলামাবাদের সেনারা।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। গুঞ্জন রয়েছে ২০১৯ সালের মতো সীমানা পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে নয়াদিল্লির সেনারা। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা রয়েছে ২৬ বছর পর আবারো যুদ্ধে জড়াতে পারে দুই দেশ।

যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেস্কের তথ্য বলছে, শক্তিমত্তার দিক থেকে ভারত চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ তম। তবে যুদ্ধ শুরু হলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ এতটা সহজ হবে না। কারণ বেশ কিছু জায়গায় ভারত এগিয়ে থাকলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান ধরে রেখেছে নিজেদের আধিপত্য।

ভারতের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের সংখ্যা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিপরীতে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। রিজার্ভ সেনার দিক থেকেও পার্থক্য দ্বিগুণের বেশি। সামরিক খাতে নয়াদিল্লির বাজেট সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলার। উল্টোদিকে এ খাতে ইসলামাবাদের বার্ষিক বাজেট মাত্র সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি।

আকাশ ও জলে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। নয়াদিল্লির এয়ারক্রাফ্টের সংখ্যা ২ হাজার ২২৯টি। যার মধ্যে ৫০০টির বেশি ফাইটার জেট। বিপরীতে ইসলামাবাদের মোট এয়ারক্রাফট প্রায় ১ হাজার ৪০০টি। যার মধ্যে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৩২৮। তবে প্রয়োজন অনুসারে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্বিগুণ ট্রেনার এয়ারক্রাফট মোতায়েনের সক্ষমতা রয়েছে পাকিস্তানের।

অন্যদিকে ভারতের ভাণ্ডারে ২টি বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি রয়েছে ২৯৩টি ফ্লিট ও ১৮টি সাবমেরিন। যার মধ্যে ১০টি ডুবোজাহাজই ৩০ বছর পুরোনো। অন্যদিকে পাক নৌবাহিনীর কাছে ১২১টি ফ্লিটের মধ্যে কোনো রণতরী না থাকলেও রয়েছে ৮টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। পাশাপাশি চীনে ৩টি ডুবোজাহাজ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও শেহবাজ শরীফ সরকারের হাতে ৩টি মিনি ওয়ারফেয়ার থাকলেও এখনো এর খাতা খুলতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি।

স্থলভাগের ক্ষেত্রে ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়ালেও পাকিস্তান ছুঁতে পারেনি ৩ হাজারের ঘর। আর্মাড ভেহিকেলও সাড়ে ৮ গুণ বেশি। যদিও সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টরের দিক থেকে পাকিস্তানের ধারে কাছেও নেই ভারত।

এছাড়াও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান, এমনটাই জানাচ্ছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স।