ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পহেলগাঁওয়ে আমরা হামলা করিনি: লস্কর-এ-তৈবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘটনার ২ দিন পরেই একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল কাশ্মীরে লস্কর-এ-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)৷ শনিবার টিআরএফ একেবারে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে জানিয়ে দিল, তারা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালায়নি৷ এই হামলার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনও যোগ নেই৷ অথচ, ঘটনার দিন, অর্থাৎ, গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলাতেই বৈসরন উপত্যকায় ২৬ পর্যটককে গুলি করে মারার কথা স্বীকার করেছিল টিআরএফ৷ ওই জঙ্গি সংগঠনের একটি ওয়েবসাইট থেকেই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল৷ অথচ, শনিবার গোটা ঘটনার দায় অস্বীকার করল টিআরএফ৷

এখানেই শেষ নয়, শনিবারের অডিও বার্তায় জঙ্গিগোষ্ঠী টিআরএফ দাবি করেছে, তাঁরা অন্তর্বর্তী তদন্ত করে দেখেছে, তাদের সংগঠনের কেউ পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ঘটায়নি৷ বরং তাদের ওয়েবসাইটে কোনও বড় ধরনের সাইবার হানা হয়েছে৷ টিআরএফ-এর দাবি, প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে ভারত সরকারের সাইবার ইন্টেলিজেন্সের তরফে এই ‘হ্যাক’ করা হয়েছে৷ তাদের একটি ওয়েবসাইট থেকে যে পোস্ট করা হয়েছিল, সেটা ‘অননুমোদিত’৷

শনিবারের নতুন বিবৃতিতে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার ছায়াসংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ‘‘পহেলগাঁও ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার জন্য টিআরএফ-কে দায়ী করা একটি ভুল ও তড়িঘড়িতে নেওয়া সিদ্ধান্ত৷’’

ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর দাবি, “অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর আমরা জোরের সঙ্গে বলতে পারছি এটা একটা সমন্বিত সাইবার হামলার ফল। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছি এবং প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ভারতীয় সাইবার-গোয়েন্দা সংস্থার এর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে৷”

২০২৩ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিআরএফকে “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন” হিসেবে ঘোষণা করে৷ কারণ তারা সন্ত্রাসবাদ প্রচার, জঙ্গি নিয়োগ, অনুপ্রবেশে সহায়তা এবং পাকিস্তান থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

টিআরএফ পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করার পরে কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়৷ যেখানে স্থানীয়রা পাকিস্তান এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারপরে কাশ্মীরের মানুষের কাছে ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই এই ‘অস্বীকার’ বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷

নিউজটি শেয়ার করুন

পহেলগাঁওয়ে আমরা হামলা করিনি: লস্কর-এ-তৈবা

আপডেট সময় : ০৩:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ঘটনার ২ দিন পরেই একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল কাশ্মীরে লস্কর-এ-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)৷ শনিবার টিআরএফ একেবারে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে জানিয়ে দিল, তারা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালায়নি৷ এই হামলার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনও যোগ নেই৷ অথচ, ঘটনার দিন, অর্থাৎ, গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলাতেই বৈসরন উপত্যকায় ২৬ পর্যটককে গুলি করে মারার কথা স্বীকার করেছিল টিআরএফ৷ ওই জঙ্গি সংগঠনের একটি ওয়েবসাইট থেকেই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল৷ অথচ, শনিবার গোটা ঘটনার দায় অস্বীকার করল টিআরএফ৷

এখানেই শেষ নয়, শনিবারের অডিও বার্তায় জঙ্গিগোষ্ঠী টিআরএফ দাবি করেছে, তাঁরা অন্তর্বর্তী তদন্ত করে দেখেছে, তাদের সংগঠনের কেউ পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ঘটায়নি৷ বরং তাদের ওয়েবসাইটে কোনও বড় ধরনের সাইবার হানা হয়েছে৷ টিআরএফ-এর দাবি, প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে ভারত সরকারের সাইবার ইন্টেলিজেন্সের তরফে এই ‘হ্যাক’ করা হয়েছে৷ তাদের একটি ওয়েবসাইট থেকে যে পোস্ট করা হয়েছিল, সেটা ‘অননুমোদিত’৷

শনিবারের নতুন বিবৃতিতে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার ছায়াসংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ‘‘পহেলগাঁও ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার জন্য টিআরএফ-কে দায়ী করা একটি ভুল ও তড়িঘড়িতে নেওয়া সিদ্ধান্ত৷’’

ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর দাবি, “অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর আমরা জোরের সঙ্গে বলতে পারছি এটা একটা সমন্বিত সাইবার হামলার ফল। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছি এবং প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ভারতীয় সাইবার-গোয়েন্দা সংস্থার এর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে৷”

২০২৩ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিআরএফকে “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন” হিসেবে ঘোষণা করে৷ কারণ তারা সন্ত্রাসবাদ প্রচার, জঙ্গি নিয়োগ, অনুপ্রবেশে সহায়তা এবং পাকিস্তান থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

টিআরএফ পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করার পরে কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়৷ যেখানে স্থানীয়রা পাকিস্তান এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারপরে কাশ্মীরের মানুষের কাছে ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই এই ‘অস্বীকার’ বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷