ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই বছরে মধ্যে আর্থিক ঘাটতি কাটানোর আশা বাফুফের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী দুই বছরে ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক ঘাটতি অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছেন বাফুফের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম। বিগত বছরে দৃশ্যমান কোনো সাফল্য না দেখলো বর্তমানে কিট স্পন্সরসহ বাফুফের হাতে রয়েছে জাতীয় পুরুষ দলের নিজস্ব পৃষ্ঠপোষক কোম্পানি। আর স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বলছে, ফুটবলের চিত্র বদলে দেয়ার চিন্তাতেই এ খাতে অর্থ বিনিয়োগ করছেন তারা।

একজন ফুটবল ভক্তের বাংলাদেশ দলের জার্সির সাথে ছবি তোলার দৃশ্য। মূলত লাল রঙের এ জার্সিটি বাফুফের কিট স্পন্সর হিসেবে পরিচিত দৌড় নামের এক দেশিয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি।

একটা সময় মাঠের ফুটবলে বারবার ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠায় এ খাতে কেউই আগ্রহ দেখাতো না বিনিয়োগের। তবে বর্তমানে দৃশ্যপট বদলেছে অনেকটাই।

প্রথমবারের মতো বাফুফের ঘরে এখন জার্সি স্পন্সর ছাড়াও রয়েছে জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের আলাদা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাহলে কী হামজার মতো ইংলিশ লিগে খেলা তারকা ফুটবলার আসার কারণেই চিত্র বদলেছে ফুটবলের। নাকি অন্য কোনো কারণ?

দৌড় এর প্রধান নির্বাহী আবিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু এইটা প্রথম ট্রান্সফরমেশন এসেছে। কিটের ক্ষেত্রে আমি যেটা বলবো বাফুফের আগে কিটের স্পন্সর ছিল না। তখন তারা নিজেরা বানিয়েছে। তারা আগেই জানতো তখন তারা এক সপ্তাহ আগে কিট তৈরি করে নিতো। যখন আপনি স্পন্সরের সাথে কাজ করেন তখন সম্পূর্ণ একটা ডিটেইলস প্রয়োজন পরে। যেহেতু আমরা একটা ভালো সাড়া পেয়েছি এখন বাফুফে অনেক কোম্পানির স্পন্সর পাবে।’

ফেডারেশন বলছে, এখনো পুরোপুরি কাটেনি বাফুফের আর্থিক সমস্যা। তবে আশা, আগামী ২ বছরে অনেকটা বদলে যাবে দেশের ফুটবলের অর্থনৈতিক চিত্র।

বাফুফে মার্কেটিং চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমাদের স্পন্সরের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা শুরু করেছি। আমরা ভালো পার্টনার আনতে পেরেছি। সামনে আরো আসবে। সবসময় কথা ছিল ফুটবলের টাকা নাই। অর্থের অভাব অনেক আছে কিন্তু এইটা কথা না যে টাকার অভাব থাকতে হবে। আমরা পার্টনার আনতে শুরু করেছি। আমাদের এক থেকে দুই বছর লাগবে আনতে।’

ফুটবল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক আর্থিক সমস্যা সমাধান করলেই চলবে না। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলের উন্নয়নে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে বাফুফের। তাহলেই ফুটবলে দেখা মিলবে সত্যিকারের উন্নয়নের।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই বছরে মধ্যে আর্থিক ঘাটতি কাটানোর আশা বাফুফের

আপডেট সময় : ০২:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আগামী দুই বছরে ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক ঘাটতি অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছেন বাফুফের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম। বিগত বছরে দৃশ্যমান কোনো সাফল্য না দেখলো বর্তমানে কিট স্পন্সরসহ বাফুফের হাতে রয়েছে জাতীয় পুরুষ দলের নিজস্ব পৃষ্ঠপোষক কোম্পানি। আর স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বলছে, ফুটবলের চিত্র বদলে দেয়ার চিন্তাতেই এ খাতে অর্থ বিনিয়োগ করছেন তারা।

একজন ফুটবল ভক্তের বাংলাদেশ দলের জার্সির সাথে ছবি তোলার দৃশ্য। মূলত লাল রঙের এ জার্সিটি বাফুফের কিট স্পন্সর হিসেবে পরিচিত দৌড় নামের এক দেশিয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি।

একটা সময় মাঠের ফুটবলে বারবার ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠায় এ খাতে কেউই আগ্রহ দেখাতো না বিনিয়োগের। তবে বর্তমানে দৃশ্যপট বদলেছে অনেকটাই।

প্রথমবারের মতো বাফুফের ঘরে এখন জার্সি স্পন্সর ছাড়াও রয়েছে জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের আলাদা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাহলে কী হামজার মতো ইংলিশ লিগে খেলা তারকা ফুটবলার আসার কারণেই চিত্র বদলেছে ফুটবলের। নাকি অন্য কোনো কারণ?

দৌড় এর প্রধান নির্বাহী আবিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু এইটা প্রথম ট্রান্সফরমেশন এসেছে। কিটের ক্ষেত্রে আমি যেটা বলবো বাফুফের আগে কিটের স্পন্সর ছিল না। তখন তারা নিজেরা বানিয়েছে। তারা আগেই জানতো তখন তারা এক সপ্তাহ আগে কিট তৈরি করে নিতো। যখন আপনি স্পন্সরের সাথে কাজ করেন তখন সম্পূর্ণ একটা ডিটেইলস প্রয়োজন পরে। যেহেতু আমরা একটা ভালো সাড়া পেয়েছি এখন বাফুফে অনেক কোম্পানির স্পন্সর পাবে।’

ফেডারেশন বলছে, এখনো পুরোপুরি কাটেনি বাফুফের আর্থিক সমস্যা। তবে আশা, আগামী ২ বছরে অনেকটা বদলে যাবে দেশের ফুটবলের অর্থনৈতিক চিত্র।

বাফুফে মার্কেটিং চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমাদের স্পন্সরের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা শুরু করেছি। আমরা ভালো পার্টনার আনতে পেরেছি। সামনে আরো আসবে। সবসময় কথা ছিল ফুটবলের টাকা নাই। অর্থের অভাব অনেক আছে কিন্তু এইটা কথা না যে টাকার অভাব থাকতে হবে। আমরা পার্টনার আনতে শুরু করেছি। আমাদের এক থেকে দুই বছর লাগবে আনতে।’

ফুটবল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক আর্থিক সমস্যা সমাধান করলেই চলবে না। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলের উন্নয়নে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে বাফুফের। তাহলেই ফুটবলে দেখা মিলবে সত্যিকারের উন্নয়নের।