ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কবি দাউদ হায়দারের প্রয়াণ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার চলে গেলেন জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে। যার কলম হয়ে এসেছিল, ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’- পংক্তিমালা সেই কবি শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে মৃত্যুবরণ করেন। ৭৩ বছর বয়সে এই কবি চলে গেলেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে।

দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হলে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ১১ মার্চ তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে তাকে আটক করে পুলিশ।

২০ মে মুক্তি দেওয়া হলেও কবিকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তখনকার সরকার। পরদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে একপ্রকার খালি হাতে কলকাতায় পাঠানো হয়।

১৯৭৪ সালে তাকে দেশ ছেড়ে কয়েকবছর কলকাতায় থাকতে হয়েছিল। সেখান থেকে ১৯৮৭ সালে জার্মানিতে চলে যান দাউদ হায়দার। এরপর থেকে নির্বাসিত জীবন হিসেবে সেখানেই ছিলেন তিনি।

দাউদ হায়দার ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পাবনায় জন্ম গ্রহণ করেন। একাধারে তিনি কবি, লেখক এবং সাংবাদিক।

দাউদ হায়দার আগে থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গেল বছর ডিসেম্বরে বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। সে সময় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতেও নিতে হয়।

এরপর হাসপাতাল ছাড়লেও আর সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেননি তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কবি দাউদ হায়দারের প্রয়াণ

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার চলে গেলেন জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে। যার কলম হয়ে এসেছিল, ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’- পংক্তিমালা সেই কবি শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে মৃত্যুবরণ করেন। ৭৩ বছর বয়সে এই কবি চলে গেলেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে।

দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হলে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ১১ মার্চ তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে তাকে আটক করে পুলিশ।

২০ মে মুক্তি দেওয়া হলেও কবিকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তখনকার সরকার। পরদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে একপ্রকার খালি হাতে কলকাতায় পাঠানো হয়।

১৯৭৪ সালে তাকে দেশ ছেড়ে কয়েকবছর কলকাতায় থাকতে হয়েছিল। সেখান থেকে ১৯৮৭ সালে জার্মানিতে চলে যান দাউদ হায়দার। এরপর থেকে নির্বাসিত জীবন হিসেবে সেখানেই ছিলেন তিনি।

দাউদ হায়দার ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পাবনায় জন্ম গ্রহণ করেন। একাধারে তিনি কবি, লেখক এবং সাংবাদিক।

দাউদ হায়দার আগে থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গেল বছর ডিসেম্বরে বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। সে সময় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতেও নিতে হয়।

এরপর হাসপাতাল ছাড়লেও আর সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেননি তিনি।