এবার আর ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হলো না ওদের

- আপডেট সময় : ১২:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম শেষ হতে এখনো প্রায় মাস খানেক বাকি। এমন অবস্থায় টটেনহামের বিপক্ষে গত শনিবার মাঠে নামার আগে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘অ্যানফিল্ডে মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলোতে সবাই লাল পরে আসবেন। অ্যানফিল্ডকে পুরো লাল রঙে ছেয়ে দিন। এটা দুর্দান্ত দেখাবে। যতটা সম্ভব গলা ফাটিয়ে চিৎকার করবেন। তাহলে আপনারা আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন।’
ফন ডাইকের কথা যে লিভারপুল সমর্থকদের খুব মনে ধরেছে, তার প্রমাণ মিলতে শুরু করে ম্যাচ শুরুর আগেই। অ্যানফিল্ডের আশপাশে লাল উৎসবে মাতেন হাজার হাজার লিভারপুল সমর্থক। গ্যালারি যেন লাল সমুদ্র! জার্সি-পতাকা-আবির কিংবা প্লেকার্ড- লালের অস্তিত্ব কোথায় ছিল না?
এমন উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার যথেষ্ট কারণও ছিল। আগের ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে আর্সেনাল ড্র করায় চার মৌসুম পর লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে লিভারপুলের দরকার ছিল মোটে ১ পয়েন্ট। গতকাল ঘরের মাঠে টটেনহামকে ৫-১ হারিয়ে সে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে আর্নে স্লটের দল।
তাতে লিগের ৪ ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট ইতিহাসে রেকর্ড ২০তম শিরোপা ঘরে তোলে অল রেডরা। অবশ্য সর্বোচ্চ লিগ জয়ের রেকর্ডে লিভারপুলের সঙ্গী ম্যান ইউনাইটেডও।
এর আগে লিভারপুল সর্বশেষ লিগ জিতেছিল কিংবদন্তি কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে। ২০১৯-২০ মৌসুমের সে শিরোপা ছিল অল রেডদের ৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর ওটাই ছিল লিভারপুলের প্রথম শিরোপা।
দীর্ঘ খরা কাটালেও সেবার করোনা মহামারি সমর্থকদের নিয়ে উৎসব করতে দেয়নি লিভারপুলকে। বাঁধভাঙা উদযাপনের জন্য সবমিলিয়ে অপেক্ষাটা বেড়ে ৩৫ বছরে ঠেকেছিল। সে কারণেই বোধহয় গতকাল ম্যাচের আগে থেকেই উদযাপনে মেতেছিল সমর্থকেরা।
কিন্তু অ্যানফিল্ডে শুরুতে সে উৎসবে পানি ঢালতে বসেছিল টটেনহাম। ম্যাচের ১২ মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের কর্নারে হেডে স্পার্সকে এগিয়ে দেন ডমিনিক সোলাঙ্কি। লিভারপুলের সাবেক সেন্টার ফরোয়ার্ডের আঘাতেই কি তবে অল রেডদের শিরোপা উৎসব পিছিয়ে যাবে?
এমন প্রশ্ন মনে আসার আগেই লিভারপুলকে সমতায় ফেরান দিয়াস। ৪ মিনিট পরই মোহাম্মদ সালাহর দারুণ এক ধ্রু বলে আলতো ছোঁয়ায় দিক সামান্য বদলে দেন ডমিনিক সবোসলাই। গোল লাইনের খুব কাছে থেকে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি লুইস দিয়াস। ম্যাচে ১-১ সমতা।
চার মিনিট পর কোদি খাকপোর একটি গোল অফসাইডে বাতিল হলেও লিডের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি লিভারপুলকে। ২৪ মিনিটে টটেনহাম ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার। ১০ মিনিট পর আবারও ভুল করে বসে টটেনহাম ডিফেন্স। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বক্সের জটলার ভেতর থেকে ব্যবধান বাড়ান খাকপো ।
৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া লিভারপুলের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন সালাহ। ৬৩ মিনিটে সবোসলাইয়ের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে বাঁ পায়ের শটে দারুণ এক গোল করেই গ্যালারির দিকে দৌড়ে যান মিশরীয় তারকা। এরপর সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলে উদযাপনের উপলক্ষ্যটা সমর্থকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন সালাহ। এর ৬ মিনিট পর দেসতিনি উদোগীর গোল লিভারপুলের জয়ের ব্যবধানটা ৫-১ করে দেয়।