বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সামরিক ব্যয়, শীর্ষে আমেরিকা

- আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বজুড়ে গত বছর সামরিক ব্যয় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্নায়ু যুদ্ধের পর থেকে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়েই সামরিক ব্যয় বেড়েছে। গাজা ও ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ব্যয় বেশি বেড়েছে।
সিপ্রির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের অনেক দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং ন্যাটো জোটে আমেরিকার থাকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় নজিরবিহীন সামরিক ব্যয় করেছে। মহাদেশটিতে গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ সামরিক ব্যয় বেড়েছে।
২০২৪ সালে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় আনুমানিক ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি এবং ২০১৫ সালের দ্বিগুণ। এটি রাশিয়ার জিডিপির ৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং সমস্ত সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ।
ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় ২০২৩ সালের চেয়ে ২ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা রাশিয়ার সামরিক ব্যয়ের ৪৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে ইউক্রেনের জিডিপির ৩৪ শতাংশ সামরিক ব্যয়ে খরচ হয়েছে।
সিপ্রি জানায়, ইউক্রেন বর্তমানে তার সমস্ত ট্যাক্স আয়ের একযোগে সামরিক খাতে বরাদ্দ করছে। এই অবস্থায়, ইউক্রেনের জন্য সামরিক ব্যয় আরও বাড়ানো কঠিন হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে আনুমানিক ২৪৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা এর আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। গাজায় হামলা চলতে থাকায়, ২০২৪ সালে ইসরায়েলের সামরিক ব্যয় ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, এটি ১৯৬৭ সালের ইসরায়েল-আরব যুদ্ধের পর তেল আবিবের জন্য সামরিক খাতে সবচেয়ে বড় বার্ষিক ব্যয়।
এর বিপরীতে ইরানের সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমে ৭.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সামরিক খাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যয়কারী দেশ চীন। তার সামরিক ব্যয় ২০২৩ সালের চেয়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আনুমানিক ৩১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে আমেরিকা। দেশটির সামরিক ব্যয় ২০২৩ সালের চেয়ে বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯৯৭ ডলারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ন্যাটোর মোট ব্যয়ের ৬৬ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ।